Header Ads

এ জি অফিস স্টাফ বৈশাখী চক্রবর্তীর রহস্য জনক মৃত্যু

নয়া ঠাহর,গুয়াহাটি: মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা  পুলিশ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত,কিন্তু গুয়াহাটি মহানগরে বিশেষ  বশিষ্ট পুলিশ থানার কাজ কর্মে স্বচ্ছতা নেই।আবার প্রমান হল   বেল তলা এ জি অফিসের  সিনিয়র স্টাফ   বৈশাখী   চক্রবর্তী র   আজকের  মৃত্যুতে। পারিবারিক সূত্রে ও অন্যান্য ওয়াকিবহাল  সূত্রে জানা গেল  গত 7 সেপ্টেম্বরে  নিজর বেল তলার আবাস থেকে  বেলতলা ইন্ডিয়ান ব্যাংক থেকে টাকা তুলে  যাচ্ছিলেন।পথে তার  টমটম কে পিছন থেকে এই  বাইক জোর ধাক্কা মারে।  বৈশাখী ওরফে পাপু   ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান  তার ব্যাগ টাকাপয়সা মোবাইল সব  ছিনতাই হয়ে যায়। বিস্ময়ের কথা  টমটম ও পালিয়ে যায়। বশিষ্ঠ থানার ট্রাফিক পুলিশ এলাকায় এই ঘটনা  রাস্তায়  প্রায়   জ্ঞান হারিয়ে পড়ে ছিলেন।কোনো  সহৃদয়  ব্যাক্তি র চেষ্টায় তাকে বেলতলা জি এন আর সি হাসপাতালে ভর্তি করা  হয়।   বৈশাখী র দাদা আশীষ চক্রবর্তী  পরে খবর পান। তিনি জানান কেউ  ফেস বুকে  রাস্তায় পড়ে থাকা ছবিটা পোস্ট করে,সেখান থেকে সবাই জানতে পারে। গুরুতর অভিযোগ   বশিষ্ঠ থানা প্রথমে এফ আই আর গ্রহণ করেনি। এই থানার বিরুদ্ধে এফ আই আর গ্রহণ না করার বিস্তর অভিযোগ আছে। সময় মত তা গ্রহণ করা হলে পুলিশ যদি সক্রিয় হত তবে অপরাধী ধরা পড়তো।   অবাক করা কথা  বৈশাখি চক্রবর্তীর শরীরে কোনো চোট ছিল না।কেবল মাথার পিছনে  গভীর ক্ষত ছিল। জি এন আর সি কর্তৃপক্ষ জানান  মাথার সামনে চোট থাকলে  রোগীকে   বাঁচানো যেতো। শরীরে  কোও ক্ষত নেই শুধু মাথার পিছনে গভীর ক্ষত কেন?কোনো পেশাদারি খুনি এই কাজ করেনি তো? টমটম    যাত্রীকে ফেলে পালিয়ে গেল কেন? কাছে ভিতে  ডিউটি তে থাকা ট্রাফিক পুলিশ কোথায় ছিল?  বশিষ্ঠা থানা প্রথমেই এফ আই আর গ্রহণ করেনি কেন?এমন অনেক প্রশ্নের মাঝে ভিড় করছে ।অসম পুলিশের সাইবার ক্রাইম    কি ভূমিকা পালন করছে।  গুয়াহাটি মহানগরে দিন দুপুরে এত বড় ঘটনা  ঘটে গেল?গ্রাম অসমের কি অবস্থা। মুখ্যমন্ত্রী র পুলিশ কোথায়? বৈশাখী  চক্রবর্তী  বাবা লামডিঙে রেল কর্মী ছিলেন।স্বামী কেন্দ্রীয় সরকারের  অধীনে চাকরি করেন। দুই কন্যা বর্তমান।    সিজুবাড়ি  আবাসনে তাদের অসুস্থ মা থাকেন  সঙ্গে    বোন নিবেদিতা থাকেন   বৈশাখী অমায়িক হাসি খুশি স্বভাবের   স্বাধীনচেতা , তরুণী , সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন।  তার মৃত্যুতে এ জি কর্য্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। লামডিঙে এর  মানুষ  এই মৃত্যুর খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে  উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.