Header Ads

দেশে বেলাগাম করোনা, অক্সিজেন আকাল তুঙ্গে

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : দেশের রাজধানী দিল্লি সহ ১০টি রাজ্যে  বেলাগাম করোনাআকাল অক্সিজেনের তুঙ্গে চাহিদা। গত বছর ২৪ মার্চ দেশে লকডাউন লাগু হয়েছিল, তখন  দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৪৭ জন, এবার এবছর  ২৩ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ছড়িয়ে গেছে।   মৃত্যুর গন্ডি দুহাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি রাজ্যে গড়ে ৪৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের প্রয়োজন। চাহিদা তুঙ্গে দিল্লি থেকে শুরু করে অধিকাংশ রাজ্যে  অক্সিজেনের অভাবে  রুগী মারা যাচ্ছে। এর মধ্যে মর্মান্তিক খবর মহারাষ্টে বিজয় বল্লভ কোভিড হাসপাতালে ১৩ জন কোভিড রুগী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ কোভিড আক্রান্ত  রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে অক্সিজেন পরিস্থিতি পর্যলোচনা করেন। রাজ্যগুলোতে বায়ু সেনার বিমানে। অক্সিজেন পৌঁছনোর  নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়া, প্রতি রাজ্যে নিজস্বভাবে অক্সিজেন প্যান্ট   বসানোর উপর জোর দিয়েছেন। ইতিমধ্যে রেল বিভাগ অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেন  চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অসম, পশ্চিমবঙ্গে   করোনা সংক্রমণের  নতুন প্রজাতি বা প্রকরণ  ধরা পড়েছে  যা ডাবল মিউটেন্ট,   যা ইউকে, কালিফনিয়া বা ব্রাজিলের সংক্রমণ থেকে এসেছে  যাকে বি ১৬১৭ ভাইরাস বলা হচ্ছে। যার সংক্রমণের মাত্রা  তিন চার গু বেশি। অসমে মহারাষ্ট্র থেকে বিমান যাত্রীদের মাধ্যমে ঢুকেছে বলে   স্বাস্থ্যমন্ত্রী  হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান। তিনি এই ভয়ানক খবর দিয়ে বলেন, এই সংক্রমণ সোজাসুজি  হার্টকে আক্রমণ করে। বাড়ির একজন আক্রান্ত হলে বাকিদের  তা ধরে নেবে। অসমে একদিনে ২৩৮৪ আক্রান্ত হয়েছে। শুধু কামরূপে ৮৮৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে আক্রানর সংখ্যা ১৩ হাজার ছুঁই ছুঁই। রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ৫৯ জনের। রাজ্যবাসীকে অভয় দিয়ে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, অসমে অক্সিজেনের অভাব নেই। ভ্যাকসিনের অভাব নেই। তিনি জানান, সবনিয়ে অসমে ১০৫০টি বেড আছে সরুসজাইয়ে ৪০০ বেডের  কোভিড হাসপাতাল রেডি। ১০০ আই সি ইউ  রেডি, নতুন করে ৫৬৮টি বেডের হাসপাতাল তৈরি করা হবে। অক্সিজেনর ব্যবস্থা থাকবে। তিনি বলেন, সরুসজাইয়ের ক্যাম্প হাসপাতালে যারা থাকবেন তাদের বাড়ি থেকে খাবার আনিয়ে খেতে হবে। অসমে শুধু ট্রেন বিমান নয় যারা বাসে গাড়িতে আসবে তাদেরকেও কোভিড টেস্ট করতে হবে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা থেকে যারা পশ্চিমবঙ্গে বিমানে আসবে তাদেরকে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে ঢুকতে হবে বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনয়াল আজ তিন জেলার করোনা পর্যলোচনা করে বলেছেন, এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি করবেন না  যাতে সরকার লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.