Header Ads

হিমন্ত না চাইলেও মুখ্যমন্ত্রী বিপিএফ-এর হাত ধরে বিটিসি গড়বে

 ১৭ টি আসনে বি পি এফ, ১১ টি আসনে ইউপিপিএল, বিজেপি ১০ টি, কংগ্রেস মাত্র টি আসনে জয়লাভ

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : বিটিসি নির্বাচন ছিল আগামী সাধারণ নির্বাচনের সেমি ফাইনালসেই নির্বাচনে শাসক দল বিজেপি ৪০টি আসনের মধ্যে টি আসন পেয়েছে প্রমোদ বড়োর ইউপিপিএল ১১টি আসন দখল করেছেখবর লেখা অবধি বিটিসির শাসক দল বি পি এফ পেয়েছে ১৭টি আসন, সব চেয়ে বেশি, হগ্রামা মহিলারি তার দুটি কেন্দ্র দেবরগাঁও এবং কচুগাও কেন্দ্রে জয়লাভের পথে। চূড়ান্ত ফল জানা যায়নি। এই নির্বাচনে এন ডি এফ বির এস গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বি চাওড়াইগৌরা ইউ পি পি এল দলে প্রতিদ্বন্দীতা করে চিরাং কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন। যা ভবিষ্যতে নতুন প্রশ্নের অবতারণা হবে। সাংসদ নব সরানিয়ার দল গণ সুরক্ষা পার্টি অবড়ো ভোটের দিকে চেয়েছিলকিন্তু এই ভোটাররা সব ইউ পি পি এলের দিকে ঝুঁকেছে তারা খাতা খুলতে পারেনি। রাতের খবর বিজেপির আরও দুটি আসন জিতেছে মোট ১০টি হল। আজকের নির্বাচনে বি পি এফ প্রধান হগ্রামাকে যেভাবে বিজেপি আক্রমণ করেছিল, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা যেভাবে বার বার হুমকি দিয়েছেন, তাকে জেলে ঢোকানো হবে, তা কিন্তু হল না বি পি এফ ১৭টি আসন পেয়েছে। তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি বিটিসি গঠন করবে না ইউ পি পি এল-এর সঙ্গে সমঝোতা করে গঠন করবে তা কয়েক ঘন্টা বাদ জানা যাবে। তিনজন মন্ত্রী চন্দন ব্রহ্ম, প্রমীলা রানী ব্রহ্ম এবং রিহন দৈমারীর ভাগ্য কি হবে না আবার বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে সরকারে থেকে যাবে, আজ রাতে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত দাস বৈঠক হওয়ার কথা আছে, সেখানে পুনরায় হগ্রামার হাত ধরে সরকারে থেকে যাবার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। রাতে খবর লেখা পযর্ন্ত বি পি এফ ১৮টি আসন জয় লাভ করেছে। সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপাল সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাওয়া দলকে বিটিসি গঠন করার আহ্বান জানাতে হবে। কোকিলা বাড়ি কেন্দ্রে ইউ পি পি এল প্রধান প্রমোদ বড়ো জয়লাভ করেছেন। তারা শেষ পর্যন্ত ১১টি আসন পেয়েছে। ইউ পি পি এল বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছে ভাবা গিয়েছিল তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি বিটিসি গড়বে। সেই সম্ভবনা শেষ হয়ে যায় নি। সব কিছু নির্ভর করছে মাহিলারি এবং হিমন্ত বিশ্ব শর্মার উপরএই দুজনে পরস্পর যেভাবে কাদা 

ছোড়াছোড়ি করেছে, এর পর হাত মেলানো সম্ভব হবে কি? বিটিসি নির্বাচনে বাঙালি হিন্দুরা বিজেপি থেকে মুখ ফিরিয়ে প্রমোদ বড়োর ইউ পি পি এল এবং বি পি এফকে ভোট দিয়েছে। এর প্রভাব আগামী সাধারণ নির্বাচনে পড়বে। এই জনগোষ্ঠীকে এন আর সি, নামে ডিটেনশন ক্যাম্পের নামে যেভাবে বিপর্যস্ত করা হয়েছে হেনস্থা করা হয়েছে, তার পর বিজেপিকে এই জনগোষ্ঠী ভোট দেবে কিনা সন্দেহ আছে। এই নির্বাচন এ আই ইউ ডি এফ এবং কংগ্রেসের সমঝোতা ব্যর্থ হল কংগ্রেস মাত্র টি আসন পেয়েছে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বদরুদ্দিন আজমলকে যেভাবে অপমান করল জেহাদি সাজালেন তাতে সংখ্যালঘু ভোটাররা দূরে সরে গেছে। বিজেপি জেতার জন্যে সব করতে পারে, বিশেষ করে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা যেভাবে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেছেন তা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করবে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল কিন্তু আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেন না। খুবই সংযতভাবে, শিষ্টাচার মেনে কথা বলেন। হাগ্রামার বিরুদ্ধে একটাও বাজে শব্দ ব্যবহার করেননি। হাগ্রামা বরাবর মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করে আসছেন। তাকে ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন দেখা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাই স্বাভাবিকভাবে হাগ্রামাকে একেবারে সহ্য করতে পারছিলেন না। তবুও ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রর কথা চিন্তা করে বি পি এফের সঙ্গে থাকবে বিজেপি, এছাড়া গত্যন্তর নেই। বিটিসি ও তার অধীনস্থ ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রে জয় লাভ করতে বিজেপিকে বি পি এফের উপর নির্ভর করতেই হবে। ১৭ বছর শাসন করার পরেও বহু দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া না থাকলেও বি পি এফের শক্তি কমেনি, ১৭টি আসন পেয়ে কেন্দ্রের নজর কারলেন। রাজ্য বিজেপি যাই বলুক না কেন কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার বি পি এফকে সঙ্গে নিয়েই সরকারে থাকতে বলবে সর্বানন্দকে। হিমন্ত রাজি না হলেও উপায় নেই। জয় হবে হাগ্রামা মহিলারির।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.