Header Ads

১৯৭১ না ১৯৫১ প্রথমে ঠিক হোকঃ ফেডারেশন

 


নয়া ঠাহর প্রতিবেদন,কোকরাঝার/গুয়াহাটীঃ"বর্তমান রাজ্যে চলছে ব্যাপকহারে চলছে ব্লেকমেইলিং,ছল-চতুরী এবং চূড়ান্ত মিথ্যাচারের রাজনীতি" বলে আপেক্ষ করেন সারা বিটিসি যুব-ছাত্র ফেডারেশনের মুখ্য উপদেষ্টা শ্যামল সরকার৷ গতদিনে একটি শ্রেনী বিশেষকরে শহুরে বিলাসবহুল জীবনযাপন করা একজন কৃষক নেতাই প্রচার করেছিলো যে "বাংলাদেশ থেকে ১কোটি ৯০ লক্ষ হিন্দু বাংলাদেশী অসমে প্রবেশ করবে এবং অসমের ভাষা, কৃষি সব ধ্বংস করবে" যা আদৌ অসত্য এবং অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই ছিলো না৷কারন আজ অবদিতো আমরা আমাদের আশেপাশে একজনও নবাগত হিন্দু বাংলাদেশী সাক্ষাৎ পেলাম না৷ সুতরাং এই মিথ্যাচারের মাধ্যমে সহজ সরল অসমীয়া ভাইদের বিভ্রান্ত করে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ পূরন করার অপচেষ্টা করা হয়েছিলো বা করা হচ্ছে তা এখন অসমবাসী প্রমাণ পেলো বলে মতপ্রকাশ করেন শ্যামল সরকার৷

একদিকে কেন্দ্র সরকার বলছেন "কা" র মাধ্যমে অসমে হিন্দু বাঙালিদের সুরক্ষা দেবেন অন্যদিকে রাজ্য সরকার অসম চুক্তির ৬নং দফার মাধ্যমে অসমীয়াদের সুরক্ষা দেবেন৷ এখন প্রশ্ন হয় কে অসুরিক্ষত ? কারন অসমে বসবাসকারী সকল জাতি-জনগোষ্ঠীই নিজেদের অসমীয়া বলেই পরিচয় দেয় বা দিতে কুন্ঠাবোধ করে না৷ তবে কে বা কারা কাদের থেকে অসুরক্ষিত ? অসম আন্দোলনে ৮৫৫ জন শহীদের মধ্যে হিন্দু বাঙালি,নেপালীসহ অন্যান্য জাতি-জনগোষ্ঠী র মানুষও যে সরকারী শহীদের তালিকাভুক্ত হয়ে আছে তা ভুললে চলবে না৷ বিভিন্ন সময় ঘটনা পরিঘটনার জন্য নিরীহ হিন্দু বাঙালিদের ওপর অমানুষিক অত্যাচার চালানো হয়েছে যা আজ পর্যন্ত মুখবুজে সহ্য করে এসেছে কিন্তু ধৈর্য্যরো সীমা থাকে ৷ বিজেপি সরকারের আমোলেই ব্যাপকভাবে "ডি" সন্ত্রাসবাদের শিকার বাঙালি হিন্দুদেরই করা হয়েছে যার উচিত উত্তর আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দেওয়ার জন্য হিন্দু বাঙালিরা প্রস্তুত বলে জানান শ্যামল সরকার৷ এবং অসম চুক্তি মর্মে ১৯৭১ সাল নাগরিকত্বের ভিত্তি বৎসর হিসেবে গ্রহন হওয়ার পর কিভাবে "কা" অসমের বাঙালিরা উপকৃত হবে বলে প্রশ্ন করেন ৷

এই প্রসঙ্গক্রমে সারা অসম বাঙালি যুব-ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি দীপক দে বলেন যে বিগত কয়েকদশক থেকেই লক্ষ্যাধীক মানবসম্পদ নিয়ে ছেলেখেলা করছে সরকার ? কোনো রাজনৈতিক দলই হিন্দু বাঙালিদের বাঁশ দিতে দ্বিধাবোধ করেনি! সে অগপ,কংগ্রেস বা বিজেপি ই হোক না ! দিশপুরের নির্দেশেই বাঙালিদের বিনা অনুসন্ধানে পাইকারী হারে সন্দেহজনক নাগরিকের নোটিশ প্রেরণ করা হয় যা ১০০% বেআইনী৷ ভিত্তি বৎসর নিয়ে সরকার এবং কয়েকটি  সংগঠন সর্বসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে যাদের মুল উদ্দেশ্য হলো নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ পরিপূর্ণ করা৷ এরা অসমের উন্নয়ন কামনা করে না৷ প্রমাণ হিসাবে গতদিনে "কা" বিরোধী আন্দোলনের বাহানায় বৃহৎ পরিমাণের সরকারী সম্পত্তির ক্ষতিই উদাহরণের জন্য যথেষ্ট৷ এখন অবশ্য ঐ আন্দোলনকারীরাই শাসকীয় দলের গলার মালা হয়ে গিয়াছে ! 

১৯৭১ না ১৯৫১ প্রথমে ঠিক করার ফেডারেশনের দাবীকে ১০০% সমর্থন করেছেন সারা অসম বাঙালি ঐক্যমঞ্চের কার্য্যকরী সভাপতি শান্তনু মুখার্জী৷ চক্রান্তকরে বাঙালিদের বিদেশী বানানো এ রাজ্যে বহুদিন থেকেই চলে আসছে ! খুবই সাধারণ গরীব বাঙালিদেরকেই "বিদেশী" র নামে আত্মবলিদান দিতে হয়৷ তার জলন্ত উদাহরণ আছে সুব্রত দে, দুলাল পাল, ফালু দাস সহ আরো অনেক৷ এই হতভাগ্যরা যদি সত্যিই বিদেশী ছিলেন তাহলে এনাদের মৃতদেহ কেনো বিদেশে পাঠানোর পরিবর্তে ভারতে সৎকার করা হলো ? এখনও বিদেশীর নামে অনেক মানুষ গোয়ালপাড়া সহ অন্যান্য ৫টি ডিটেনসন ক্যাম্পে আবদ্ধ হয়ে আছে তাদের নথিপত্র পুনিরক্ষন করছে না কেনো হিন্দুদের জন্য দাবেদারী রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার ? আমরা ১০০% নিশ্চিত যে বিদেশী র নামে প্রকৃত ভারতীয়দের হয়রানি করা হচ্ছে, অনেক বিদেশী তকমা আটা মানুষদের নথিপত্র স্বচক্ষে দেখেছি সেইজন্যই আমরা এই হতভাগ্য মানুষদের সাথে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি৷

"সরকারের শাসনাধিষ্টত দল আমাদের সকলকে বাদোঁরের মতোন নাচাচ্ছে " এই মন্তব্য যুব নেতা সুরজিৎ পালের৷ ডি সন্ত্রাসবাদের জন্য আমরা গত কয়েক বৎসরে আমাদের অনেক মানুষ অকালে হারিয়েছি৷খারুপেটিয়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিরোদ বরন দাস, নিশলামারীর গোপাল দাস তাছাড়া আরো অন্যান্য৷ ছন্দা রানী পালের বাচ্চা গুলার আর্তনাদ, মরিগাঁওের দিলীপ বিশ্বাসের ধ্বংস হওয়া পরিবারটির কথা মনে পড়লে মনে খুবই কষ্ট লাগে৷ আর কতোদিন নিরীহ বাঙালিদের সাথে নির্মম অত্যাচার চলবে ? এখনও ভিত্তি বৎসর, এনআরসি, নাগরিকত্ব আইন,রাজ্যের উন্নয়ন ইত্যাদি সকলিই ধোয়াশার মধ্যে এইবোলে বর্তমানের শাসনাধিষ্টত বিজেপি দলের উপর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন রঙিয়া বাঙালি জনমঞ্চের সভাপতি সুরজিৎ পাল৷


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.