Header Ads

২০২১ নির্বাচনের আগে ১২৬ কেন্দ্রের সীমা নির্ধারণ করে ভোটারদের মধ্যে ভারসাম্য এনে বিজেপি জয় সুনিশ্চিত করতে চায়



অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : নির্বাচন কেন্দ্রের পুনর্নির্ধারণ আইন ২০০২-এর ৩৩ দফার অধীনে ভারত সরকার আইন এবং বিচার মন্ত্রণালয়ের এইচ ১১০১৯/২০১৯ নম্বর এবং মার্চ ২০২০র বিজ্ঞপ্তি যোগে কেন্দ্র বা সমষ্টি পুনর্নির্ধারণ কমিশন গঠন করা হয়েছে বা Delimitation commission গঠন করেছে। এই কমিশনের অধস্তন সচিব ভি ডি আরোরা গত ৩০ এপ্রিল এক চিঠিতে অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, ইম্ফল নাগাল্যান্ড এবং কেন্দ্রীয় শাসিত জম্বু ও কাশ্মীরে এই কমিশন গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের নির্বাচন কমিশনার এবং রাজ্যিক নির্বাচন কমিশনারকে পদাধিকার বলে ডেলিমিটিয়েশন কমিশনের মেম্বার মনোনীত করেছেন। গত মার্চ কমিশনের কেন্দ্রীয় সচিব জি নারায়ণ রাজু এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অসম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং জম্বু-কাশ্মীরের বিধানসভা ও লোকসভার সীমা পুনর্নির্ধারণ করার জন্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রসাদকে চেয়ারম্যান মনোনীত করে এবং নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রকে মেম্বার ও রাজ্যিক নির্বাচন আধিকারিকদের মেম্বার করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় থেকে এক বছরের জন্য চেয়ারম্যান রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইকে নিয়োগ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের জনগণনার পর ডিলিমিটশন আইন তৈরি হয়। লোকসভা বিধানসভার কেন্দ্রগুলোর জন বিন্যাসের ভারসাম্য রক্ষা,  সব জনগোষ্ঠীর ভোটদান সহ সব অধিকার সুনিশ্চিত করা  তফসিল জাতি উপজাতি ও ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর রাজনৈতিক অধিকার যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে ইত্যাদির জন্যে নির্দিষ্ট মেয়াদ অন্তর লোকসভা বিধানসভার সীমা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। অসমের ১২৬ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় ৪৫ টি কেন্দ্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোটাররা ব্যালেনসিং ফ্যাক্টর, তাদের সমর্থন ছাড়া কেউ জিততে পারবেন না। অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা খোলাখুলি বলেছেন, নিম্ন অসমে মুসলিম ভোটারদের এক চেটিয়া আধিপত্য ভাঙতে না পারলে বদরুদ্দিন আজমলদের ভবিষ্যতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হবেন আটকানো যাবে না। তার কথায় স্পষ্ট এক চেটিয়া মুসলিম ভোটারদের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে ছাড়িয়ে দিয়ে অমুসলিম ভোটারদের আধিপত্য অক্ষুন্ন রাখার তাগিদে ২০২১ সালের নির্বাচনের আগেই সীমা নির্ধারণের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। সরকার ভেতরে ভেতরে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছে। এ আই ইউ ডি এফের হাফিজ বশির আহমেদ সেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রী পরিমল শুক্ল বৈদ্য বলেছেন নির্বাচন কমিশনার নির্দেশ দিলে তা তো মানতেই হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.