Header Ads

ব্যক্তিগত লোভ-লালসা একদিন কাজিরঙাকে ধ্বংস করবে, বলে গেছেন রবিন আঙ্কেল

 


অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : কাজিরঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানের নিরাপত্তার বলয় নিয়ে আগে বহু অভিযোগ উঠেছে। অস্থায়ী বন কর্মীদের নগণ্য মজুরি দেওয়া হয় নিয়মিত রেশন দেওয়া হয় না জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপন্ন প্রজাতির গন্ডার রক্ষা করে  সেই গরিব কম মজুরির কর্মীরা যদি একটা গন্ডার হত্যা করে খড়্গ বাজারে বিক্রি করতে পারে তবে সারা জীবন দুধে-ভাতে খেয়ে থাকতে পারে অস্থায়ী কম মজুরির গরিব বন কর্মী মন দিয়ে গন্ডার রক্ষা করবে নাসারা জীবন সুখী থাকার চেষ্টা করতে অসৎ হবে বা চোরা শিকারিদের সঙ্গে গোপন আঁতাত গড়ে তুলবেগন্ডার হত্যা করে সারা জীবন দুধে-ভাতে খেয়ে থাকার চেষ্টা করবে? সরকার আজ পর্যন্ত এই সমস্যার কথা একবারও চিন্তা করলো না। যারা দিন রাত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্ডার, বাঘ রক্ষা করে তাদের বেতন ভাতা, রেশন, ঔষধপত্র,  পোষাক, জুতো, অস্ত্রশস্ত্র যথারীতি সুব্যবস্থা করতে হবে তা কিন্তু হচ্ছে না ৫০০ বর্গ কিলোমিটারের বেশি রাষ্ট্রীয় উদ্যান আজও সুরিক্ষিত নয়। অস্থায়ী কম মজুরির বনকর্মী রাখা হয় তারাই লোভের বশবর্তী হয়ে গন্ডার হত্যা করে থাকে কাল দুজন অস্থায়ী বনকর্মী ধরা পড়েছে গন্ডার হত্যা করে বাইরে খড়্গ বিক্রি করে দিয়ে গণছে। যারা গন্ডার সুরক্ষার দায়িত্বে আছে তাদের জীবন জীবিকা সুরক্ষিত না হলে গন্ডার হত্যা বন্ধ করা যাবে না। এই প্রসঙ্গে 


কাজিরঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা বিশিষ্ট পরিবেশবিদ রবিন বন্দ্যোপাধ্যায় গোলাঘাটে এক সাক্ষাৎকারে এই প্রতিবেদককে বলেছিলেন, মানুষের লোভের মাত্রা বেড়ে গেছে  লোভে পরে সামান্য টাকার লোভে অসমের গর্ব দুর্লভ প্রজাতির গন্ডার হত্যা করতেও হাত কাঁপে না। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলে গেছেন, মানুষের লোভ লালসা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে কাজিরঙাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। এই প্রতিবেদকের লেখা অসমের রবিন আঙ্কল শীর্ষক গ্রন্থে রবিন ব্যানার্জী কাজিরঙাকে কি গভীরভাবে ভালোবাসতেন তা প্রতি ছত্রে ফুটে উঠেছে। সেই কাজিরঙার প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে কি?  গোলাঘাটের মিশন রোডে আজও রবিন ব্যানার্জীর রবিন আঙ্কল মিউজিয়াম জঙ্গল পরিবেশ,  জীব জগতের প্রতি তাঁর অসীম ভালবাসার সাক্ষ্য বহন করছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.