Header Ads

জাতিসংঘকে কাশ্মীর ইস্যুতে সম্পৃক্ত করতে পাকিস্তানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ : ভারত !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। তবে সেটি ফলপ্রসূ হয়নি বলে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। সোমবার (৩ আগস্ট) জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস ত্রিমূর্তি এমনটি জানিয়েছেন বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে।
বিষয়টি ভারতের পক্ষ থেকেও নাকচ করা হয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনায় আনতে পাকিস্তানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ১৯৬৫ সালের নভেম্বরের পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ভারত ও পাকিস্তান ইস্যু নিয়ে আর কোন রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়নি। চিন ছাড়া প্রত্যেক দেশই কাশ্মীর ইস্যুটি দিল্লি ও ইসলামাবাদের দ্বিপক্ষীয় বিষয় বলে মনে করছে।’
 
তিনি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক বিষয়কে আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপন করা পাকিস্তানের নতুন কোন বিষয় নয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেই অনুসারে ১৯৬৫ সালের নভেম্বরের পর এটি কোন আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিলো না। এটি রুদ্ধদ্বার একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ছিলো।’
 
পাকিস্তানের উত্থাপিত বিষয় জাতিসংঘে গুরুত্ব পায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ শেষে ১৯৭২ সালের দ্বিপক্ষীয় সিমলা চুক্তির কথা উল্লেখে করে গত আগস্ট মাসে জাতিসংঘ মহাসচিব এক বিবৃতি দেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের উত্থাপিত বিষয় গুরুত্ব পায়নি বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়।
 
গত মাসে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি অনুষ্ঠানে জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।
ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থন পাওয়ার জন্য বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এটি তাদের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা কেড়ে নেয় এবং অঞ্চলটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.