Header Ads

ভারতীয় নারী সেনারা লাইন অফ কন্ট্রোলে নিরাপত্তার দায়িত্বে !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীর উপত‌্যকায় নারী জাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ইতিহাস তৈরি করল ভারতীয় সেনা। এই প্রথম জম্মু-কাশ্মীরের লাইন অফ কন্ট্রোলে নিরাপত্তার দায়িত্ব পেয়েছেন নারী সেনারা।
 
জলপাই রঙের উর্দি। হাতে অ‌্যাসল্ট রাইফেল। ভারি বুটের শব্দ। ভূস্বর্গে পা দিলে প্রকৃতির মোহময়ী রূপের সঙ্গে চোখে পড়বে এগুলোও। যাকে বলে চেনা ছবি। তবে একটু ভাল করে লক্ষ‌্য করলে বোঝা যাবে যে, সেই চেনা ছবিতেও রয়েছে এক অচেনা টুইস্ট ! সেনার রুক্ষ উর্দির আড়ালে রয়েছে কোনো এক বোন, মায়ের কোমল মুখ। সেই কোমল মুখে দেখা মিলবে একজোড়া বজ্রকঠিন চোখেরও। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পুরুষ সহযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন ভারতীয় সেনার আসাম রাইফেলসের নারী সদস্যরা।
একে কাশ্মীরের মতো সংবেদনশীল এলাকা। তাও আবার যে সে জায়গা নয়। একেবারে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর লাগোয়া সাধনা পাস। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যা দশ হাজার ফুট উঁচুতে। এই এলাকার তিথওয়াল ও তংধরের মধ্যে গোটা চল্লিশেক গ্রাম। বিভিন্ন কাজে বহু গাড়ি এপার-ওপার করে। থাকেন প্রচুর স্থানীয় নারী। যাদের সেভাবে তল্লাশি করতে পারেন না পুরুষ সেনা সদস্যরা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জাল নোট, অস্ত্র, মাদক থেকে শুরু করে বোরখার আড়ালে চলে আসে সন্ত্রাসবাদীরাও। এই সমস‌্যা মেটাতেই মহিলা সেনাদের পোস্টিং দেওয়া হয়েছে সাধনা পাসে। আপাতত এক নারী অফিসারের নেতৃত্বে ৬ জন নারী সেনাকে মোতায়েন করা হয়েছে এই এলাকায়। যাদের প্রধান কাজ হবে নারীদের তল্লাশি করা। পাশাপাশি অস্ত্র, জাল নোটের চোরাচালানেও কড়া নজর রাখার দায়িত্ব পেয়েছেন তারা।
অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই নিজেদের গুণে স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে গেছেন নারী সেনা সদস্যরা। ডিউটি করছেন বেশ স্বচ্ছন্দে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.