Header Ads

ফের ডিজিটাল স্ট্রাইক, বাতিল আরও ৪৭-টি চিনা অ্যাপ !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
ফের ধাক্কা চিনকে। নতুন করে আরও ৪৭টি চিনা অ্যাপ বাতিল করল কেন্দ্র। জানা গিয়েছে য়ে ৫৯টি চিনা অ্যাপ আগে বাতিল করেছিল কেন্দ্র, তার ক্লোন এই নতুন ব্যান হওয়া অ্যাপগুলি। পাশাপাশি জানা গিয়েছে আরও ২৭৫টি অ্যাপ বাতিল করার রাস্তায় হাঁটতে পারে কেন্দ্র।
এরমধ্যে রয়েছে অত্যন্ত জনপ্রিয় গেম অ্যাপ পাবজি। সেই পরিকল্পনা চলছে। শুক্রবার ভারত এই অ্যাপগুলি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো সোমবার থেকে সিদ্ধান্ত বলবৎ করা
হয়েছে বলে খবর। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী দ্বিতীয় বার ডিজিটাল স্ট্রাইকের জেরে চিনা অর্থনীতি নতুন করে ধাক্কা খাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
 
এদিকে, জুন মাসের শেষে, ২৯শে জুন রাতারাতি ৫৯টি চিনা অ্যাপ বাতিল ঘোষণা করে কেন্দ্র। ভারত-চিন সংঘাতের পরই একধাক্কায় ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দেয় মোদী সরকার। টিক টক, হ্যালো-র মত বেশ কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাতারাতি। সেই অ্যাপগুলিকে ফের কড়া বার্তা দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে।
জানানো হয় সরকারি নির্দেশ পালন করতেই হবে এই সংস্থাগুলিকে। সরকারের নির্দেশ না মানলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। সবকটি সংস্থাকে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফ থেকে চিঠি লেখা হয়। সেই চিঠিতে বলা হয়, নিষিদ্ধ হওয়ার পরও যদি অ্যাপগুলি কোথাও চলে, তাহলে তা শুধুমাত্র বেআইনিই নয়, এক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।
কেন্দ্রের অভিযোগ ছিল, এই ৫৯টি অ্যাপ ভারতের ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করছে। অ্যাপ ব্যবহারকারীর নাম, ঠিকানা,সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট, নানারকম গুরুত্বপূর্ন তথ্যের উপর গোপনে নজরদারী চালায় এই অ্যাপগুলি। এমনকী, ভারতের সার্বভৌমত্ব,সৌভ্রাতৃত্বকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তাকেও নষ্ট করার চেষ্টা করছে এই অ্যাপগুলি। তাই গত ২৯ জুন এই ৫৯টি অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁদের কথায়, এটা কেন্দ্রের ডিজিটাল স্ট্রাইক। এই নির্দেশিকার জেরে চিনের অর্থনীতি ব্যপক ধাক্কা খাবে। এক কথায়, বেজিংকে ভাতে মারতে প্রস্তুত সরকার।
এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের টেক স্টার্টআপ ও টেক কমিউনিটিকে উৎসাহিত করতে বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক অটল ইনোভেশন মিশনের অধীনে নিয়ে আসছে আত্মনির্ভর ভারত চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জটির দু’টি অংশ রয়েছে। একদিকে আমাদের লক্ষ্য চালু অ্যাপগুলির জোরদার বিপণন।
অন্যদিকে নতুন অ্যাপ তৈরি করা।” কেন্দ্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই বাজারে থাকা অ্যাপগুলিকে কয়েকটি ক্যাটাগরির ভিত্তিতে বাছাই করা হবে।
সেগুলি হল- ই-লার্নিং, ওয়ার্ক ফ্রম হোম, বিজনেস, গেমিং, অফিসের উপযোগী বিষয়, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ভিত্তিক অ্যাপ। এর মধ্যে সবচেয়ে ভাল অ্যাপগুলিকে বেছে নেওয়া হবে ট্র্যাক ১-এ। অন্য দিকে ট্র্যাক ২ বাছাই করা হবে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনকে। সেরা ভাবনাগুলিকে বাস্তবায়িত করার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে সরকারই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.