Header Ads

ভয়াবহ কাজিরঙার বন্যা পরিস্থিতি, মৃত্যু ২৩টি বুনো প্রাণীর, অসহায় জীবকুলের ছুটোছুটি

গোলাঘাট, ১৩ জুলাইঃ  নিরন্তর বৃষ্টিতে অসমের হাৰ্টলাইন ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের বিস্তীৰ্ণ অঞ্চল। কাজিরঙার পূৰ্ব প্রান্তে ধনশিরিমুখে সোমবার সকালে ব্ৰহ্মপুত্ৰের জলস্তর বিপদসীমার অতিক্রম করে ০০৬ মিটার ওপর দিয়ে প্ৰবাহিত হচ্ছে। ফলে আরও জটিল হয়ে পড়েছে কাজিরঙার বন্যা পরিস্থিতি। 
ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল

পক্ষকাল আগে প্ৰথম বন্যার সময়ই কাজিরঙার একাংশ বুনো প্ৰাণী উদ্যান ছেড়ে সংলগ্ন কারবি আংলঙের পাহাড়ে নিরাপদ জায়গার খোঁজে বেরিয়ে পড়েছিল। দ্বিতীয়বারের বন্যায়ও উদ্যানের বহু পশু-প্ৰাণী দল বেঁধে নিরাপদ আশ্ৰয়ের খোঁজে দক্ষিণ কারবি পাহাড়ের দিকে ছুটছে। বহু জীবজন্তু জাতীয় উদ্যানের ভেতর হাইল্যান্ডে গিয়ে আশ্ৰয় নিয়েছে। ফলে কাজিরঙার ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে অ্যানিমল কোরিডরগুলোতে নিরাপত্তা এবং যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্ৰণের জন্য বিহিত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছেন উদ্যান কৰ্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে, গতকাল অৰ্থাৎ রবিবার রাত থেকে কাজিরঙার হলদিবাড়ি এবং হাতিখুলি চা বাগানের কাছে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের অনেকটা অংশ বন্যার জলে ডুবে গেছে। কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানের ২২৩টি বন শিবিরের মধ্যে ১৬৬টি বন্যার ঘোলা জলে প্লাবিত। সাতটি বন শিবির অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কাজিরঙার ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় পথ দুৰ্ঘটনায় এখন পৰ্যন্ত ১১টি বুনো পশুর মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচটি  খর্বকায় ও লাজুক প্রকৃতির মায়া হরিণ (বার্কিং ডিয়ার), তিনটি বুনো শূকর এবং একটি অতি দুষ্প্ৰাপ্য সোয়াব হরিণের (বারোশিঙা) মৃত্যু হয়েছে। বন্যার কবল থেকে এখন পৰ্যন্ত মোট ৪৭টি প্ৰাণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪১টি মায়া হরিণও রয়েছে। উদ্ধার করে পশুগুলিকে পানবাড়ি বন্যপ্ৰাণী পুনঃসংস্থাপন এবং সংরক্ষণ কেন্দ্ৰে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসা চলাকালীন ১২টি পশুর মৃত্যু হয়েছে।

সৌজন্য : হিন্দুস্থান সমাচার

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.