Header Ads

আজ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে লকডাউন-২ চালু, ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার ৩.২৯%

নকুল রায়, গুয়াহাটি : গুয়াহাটি, খানাপাড়া, ছয় মাইল, বামুনিমৈদাম প্রভৃতি এলাকায় করোনা সংক্রমণ দ্রুতহারে সামাজিক সংক্রমণ হচ্ছে। যার তার দেহে এই রোগ সংক্রমিত হচ্ছে। যার ভয়ানক জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। শুধু গুয়াহাটি মহানগরেই প্রায় ৪০০ জনের মত সংক্রমিত হয়েছে। আরোগ্য সেতু অনুযায়ী সারা রাজ‍্যে ৬১৩ জন সংক্রমিত হয়েছে। আজ তিন দিন ধরে লকডাউনের ফলে মহানগর স্তব্ধ হয়ে গেলেও অনেক ক্ষেত্রে লকডাউন বিধি মানা হচ্ছে না। শুধু পাণ্ডু-মালিগাঁও অঞ্চলে ৬০ জন সংক্রমিত হয়েছে। সারা রাজ‍্যে এখন পর্যন্ত ৮৪০০ জন সংক্রমিত হয়েছে।  এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যেও সুস্থতার হার ৭৯ শতাংশ। ৩১৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত মৃত ব‍্যক্তিদের অসম্মান করবেন না। তাদের প্রতি সম্মান বজায় রাখুন। সংক্রমণ হয়ে মারা যাওয়ার পরও তার প‍রিবারের লোকজন সংক্রমণ হওয়ার ভয়ে সরে যাচ্ছে। তা করবেন না। পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন করুন।
লকডাউন চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকার আজ থেকে লকডাউন-২ চালু করেছে। জানা গেছে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২ জন। 
অপরদিকে, পশ্চিমবঙ্গে মৃতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। ১৪০০-র বেশি আক্রান্ত হয়েছে। সারা বিশ্বের মধ্যে একমাত্র আমেরিকায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল পযর্ন্ত ১ লক্ষ ২৬ হাজার মারা গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, অন‍্যান‍্য রাষ্ট্রের তুলনায় এদেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো। সুস্থতার হার অনেক বেশি।
আরোগ‍্য সেতু অনুযায়ী অসমে ৮২৭ জন আক্রান্ত এবং ৫৬৪৭ জন সুস্থ ও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতে ৫৮৫৪৯৩ জন আক্রান্ত, সুস্থ ৩৪৭৯৭৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ১৭৪০০ জনের। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মহারাষ্ট্রে ৭৮৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৭৪৭৬১। জন আক্রান্ত। তামিলনাড়ুতে মৃত্যু হয়েছে ১২০১ জনের। দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছে ৮৭৩৬০ এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭৪২ জনের। গুজরাটে ১৮৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর প্রদেশের ৬৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ৬৬৮ জনের মৃত্যু এবং ১৮৫৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজস্থানে ৪১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তেলেঙ্গানায় ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্ণাটকে ২৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। হরিয়ানায় ২৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মধ‍্যপ্রদেশে ৫৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিহারে ৬৭, জম্মু-কাশ্মীরে ১০১, ওড়িশার ২৫, পাঞ্জাবে ১৪৪, কেরালার ২৪, উত্তরাখণ্ডে ৪১, সত্তিশগড়ে ১৩, ঝাড়খণ্ডে ১৫, ত্রিপুরায় ১, গোয়ায় ৩, লাদাখে ১, হিমাচলপ্রদেশে ১০, অরুণাচলে ১, মেঘালয়ে ১ মৃত্যু হয়েছে। আবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিজোরাম, শিকিম, নাগাল‍্যান্ড অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতে জুলাই মাসের ১ তারিখ পযর্ন্ত মৃত্যুর হার ৩.২৯ শতাংশ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.