Header Ads

নগরের পান্ডুতে ধারাবাহিক ভূমিস্খলন,ওম বাবার আশ্রম, আর্ট অফ লিভিং এ ভূমিধস



নয়া ঠাহর প্রতিবেদন। 

গুয়াহাটিতে উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ভূমিস্খলনের ঘটনা । গুয়াহাটি শহরে বিগত কয়েক বছরে সামান্য বৃষ্টিতেই  সংঘটিত হয়েছে  অনেক  ভূমিস্খলনের ঘটনা। গুয়াহাটির আশেপাশে থাকা ১৭টি পাহাড়ে উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে  ভূমিস্খলনের ঘটনা। কাহিলিপারাতে ভূমিস্খলনের ফলে পাহাড় থেকে নেমে আসা মাটি ও  পাথর ধ্বসে একজন মহিলার মৃত্যু ও দুজন আহত হয়েছেন। আবার  এরকম ঘটনা যে কোন মুহূর্তে  গুয়াহাটি র অন্য অঞ্চলেও  সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা ঘনীভূত হয়ে পড়েছে।ওদিকে রাজভাবনের গার্ড ওয়াল ও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।


অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে পান্ডুতে।পাণ্ডুর টেম্পল ঘাটে বৃষ্টির ফলে রাস্তার গার্ড দেওয়াল ভেঙে পড়ে যায়।আবার পাণ্ডুর টেম্পল ঘাটেই আর্ট অফ লিভিং এর দালানের নদীর দিকের একটা অংশ ভেঙে পড়ে যায়।এর ফলে মূল্যবান ঔষধীয়  গাছ অনেক নষ্ট হয়ে যায়। ভূমিধস হয়েছে টেম্পল ঘাটের  ওম বাবার আশ্রামে।
যেখানে সেখানে অবৈধ  খননকার্য ,অবৈধভাবে বড় বড় বিল্ডিং বানানো ,গাছপালা কেটে ফেলার ফলে ও সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার অভাব,যেখানে সেখানে খনন, বিজ্ঞানসম্মত ভাবে পাহাড়ের সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে পাহাড়ে ভূমিস্খলনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিগত কয়েকদিন বেশ কিছুদিন ধরে ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের ফলে নগরের মালিগাঁও,পাণ্ডু, বামুনিমাইদাম, কাহিলিপারা ,নুনমাটি  খারগুলি,কামাখ্যা মন্দির পথ ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায়  ভূমিস্খলনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।কামরূপ মহানগর জিলা প্রশাসন  গুয়াহাটি ও তার আশেপাশের  ৩৬৬ এলাকা ভূমিস্খলন এলাকা বলে চিহ্নিত করেছে। প্রতিবছর বৃষ্টির সময় এই  ভূমিস্খলন এলাকায় বসবাস করা লোকদের ভয়ে জীবন যাপন করতে হয়।
এদিকে গুয়াহাটিতে সংঘটিত ভুস্খলনের ঘটনা  সম্পর্কে জেলা উপায়ুক্ত বিশ্বজিৎ  পেগু স্পর্শ কাতর এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সেখানকার লোকদের নিরাপদ স্থানে চলে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ।প্রয়োজনে পাহাড়ি এলাকার লোকদের জন্য  আশ্রয় শিবির প্রস্তুত করবে জেলা প্রশাসন।আশ্রয় শিবির প্রস্তুত করার কাজ  ইতিমধ্যে প্রশাসন শুরু করে দিয়েছে  বলে জানান জেলা উপায়ুক্ত বিস্বজিত পেগু।



শরনীয়া পাহাড় ,মালিগাঁও ,নরকাসুর পাহাড়, ফাটাশীল আমবাড়ি, খারগুলি চুনচলি,নুনমাটি,জোড়াবাট,নারঙ্গী সহিত ১৭টি পাহাড় ৩৬৬ এলাকা প্রশাসন  চিহ্নিত করার পরেও ভূমিস্খলন রোধের জন্য সুদূর প্রসারী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বৃষ্টিপাত হলেই এই অঞ্চল সমূহের ছোট বড় ভূমিস্খলনের ঘটনা সংঘটিত হয়ে থাকে।

প্রশাসন পাহাড় খরন রোধ করার চেষ্টা করে চলেছে। প্রতিবছরই ভূমিস্খলনের ঘটনায় প্রাণহানির  সাথে লোকের সম্পত্তি নষ্ট ও  অনেক লোক আহত হয়েছেন। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে পারা যায় যে নগরের চারিপাশের পাহাড়গুলোতে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে লোকসংখ্যা ।বিভিন্ন জায়গায় গাছ  কেটে পাহাড় খনন করার ফলে ভূমিস্খলন এর ঘটনা ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়ে  আসছে। অবশ্য কিছু কিছু এলাকাতে জেলা প্রশাসন সচেতনতা অভিযান চালানোর সাথে ভূমি স্খলন প্রধান অঞ্চলসমূহের একাংশের বাসগৃহের নোটিশ প্রদান করে  লোকেদের সাবধানে থাকার নির্দেশ দিয়ে এসেছে।



গুয়াহাটি শহরে উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনা ভূমি স্খলনের ঘটনা রোধ করার জন্য সরকার ,জেলা প্রশাসন,আর দুর্যোগ প্রশমন বিভাগ কী ব্যবস্থা গ্রহণ কিরে সেটাই লক্ষনীয়। 


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.