Header Ads

একদিনে ২ লাখ করোনার টেস্ট করে রেকর্ড গড়ল ভারত !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
করোনার পরীক্ষা করে একদিনের নয়া রেকর্ড গড়ল ভারত। বুধবার করোনা ভাইরাসের জন্য একদিনে ২ লাখ স্যাম্পেল টেস্ট করে রেকর্ড তৈরি করেছে ভারত। এমনটাই জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২,১৫,১৯৫ স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৭৩,৫২,৯১১টি স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সরকারি ল্যাবরেটরিতে এখনও পর্যন্ত ১,৭১,৫৮৭টি এবং বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে ৪৩,৬০৮টি স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হয়েছে--এর সঙ্গে একদিনে স্যাম্পেল টেস্টে নজির গড়েছে বেসরকারি ল্যাবরেটরি। ভারতে করোনা আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হার বেড়েছে। বর্তমানে সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৫৮,৬৮৪ জন। সাম্প্রতিক সময়ে সুস্থতার হার ৫৬.৭১ শতাংশ।
শেষ তিন মাসে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা দ্রুতহারে এবং তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়েছে। গোটা দেশে প্রায় ১০০০-এর বেশি ল্যাবরেটরিতে এই টেস্ট করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৭৩০টি সরকারি ল্যাবরেটরি এবং ২৭০টি বেসরকারি ল্যাবরেটরি বলেই জানা গেছে।
ভারতের করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছেই। তার মধ্যে আবার শিথিল করা হয়েছে লকডাউন। রাস্তায় ক্রমশ বাড়ছে মানুষের আনাগোনা। আর এই অবস্থায় গোটা দেশজুড়ে সংক্রমণের সংখ্যা হুহু করে বেড়েই চলেছে। কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না এই মারণ ভাইরাসের দাপট থেকে।
এদিকে, এতকিছুর মাঝে একটু হলেও মিলেছে স্বস্তির খবর। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় এবার সরাসরি ব্যবহার করা হবে রেমডেসিভির ওষুধ। কিছুদিন আগেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহারের কথা ঘোষণা করেছিলো মহারাষ্ট্র সরকার। এবার মহারাষ্ট্র সরকারের দেখানো পথেই হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা গেছে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার করোনা সংক্রমিতদের চিকিৎসায় হেটারো কম্পানির তৈরি রেমডেসিভির ড্রাগ ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে। ফলে এবার থেকে হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে এই ড্রাগটি। শুধু তাই নয়, এবার থেকে দেশের সমস্ত কভিড হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রেমডেসিভির ওষুধ মজুত রাখা হবে। আর যা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে।
অন্যদিকে, চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যেই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ উৎপাদন করতে পারবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া ‘সিএইচএডিওএক্স-১ এনসিওভি-১৯’ নামে পরিচিত অক্সফোর্ড টিকার প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের পক্ষ থেকে চলতি বছরের ২২ জুন জানানো হয়েছে, সামনের মাসের প্রথম সপ্তাহেই সম্ভাব্য প্রথম পর্যায়ের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। পুণের সেরাম ইন্সটিটিউটের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রথম পর্যায়ের ফল আশানুরূপ হলে প্রথমে আমরা ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ উৎপাদন করব।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের প্রক্রিয়া শেষ হলে বেশি পরিমাণে টিকা উৎপাদন করা হবে। প্রথম পর্যায়ের ফল ভালো হলে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কাজ একসঙ্গে চলবে বলেও জানান তিনি।
তার প্রত্যাশা, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হবে। এখন যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় টিকার পরীক্ষা চলছে ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায়।
তবে ভাইরাস মোকাবিলায় টিকা দুটির ডোজ যে কার্যকর হবে সেই বিষয়ে নিশ্চিত অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপ। টিকা এরই মধ্যে বানরের ওপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, টিকার একটি ডোজ নিউমোনিয়া আটকে দিলেও, সংক্রমণ রুখতে পারেনি। যদিও, তাতে আশাহত নন গবেষকরা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.