প্লিজ দরকারে কথা বলুন, পাশে থাকি আসুন একে অপরের,প্লিজ
ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ
হ্যাঁ সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন।
বিগত ছয়মাস ধরে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন চলছিল, তিনমাস গৃহবন্দী। মাত্র ৩৪ বছর বয়স ছিল। সাফল্য,
অর্থ, শিক্ষা সব ছিল৷ ফিটনেস ফ্রিক, আড্ডাবাজ, পজিটিভ, দিল্লির ইঞ্জিনিয়ার থেকে মুম্বাইয়ের তারকা। লাখ
লাখ মেয়ের নয়নের মনি। পারে এভাবে জীবন শেষ করে দিতে?
এই হাসিখুশি ছেলেটার কোন ডিপ্রেশন থাকতে পারে?
সিরিয়ালের এতো জনপ্রিয়তা, 'কাই পো চে'র মতো ছবি, ব্যোমকেশ বক্সী, মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো চরিত্র, শেষ ছবি ব্লকব্লাস্টার 'ছিছোড়ে'। গোটা ছবিটা আত্মহত্যার বিরুদ্ধে, জীবনকে উদযাপন করা নিয়ে। এই ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে?
পারে। আর তাই কথা বলুন। কথা বলুন একে অপরের
সাথে। কারোর মনখারাপ শুনে ওকে একা ছেড়ে দেবেন না। ওকে মেসেজ করুন, খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরুন। মানসিক স্বাস্থ্য ও
প্রয়োজনীয়। কার মনে কী চলছে কেউ বলতে পারেনা। কিন্তু আমরা চেষ্টা করতে পারি৷
২০২০ নৃশংস একটা বছর। খারাপ খবর, মর্মান্তিক খবর সাধারণ, নিয়মিত জিনিস হয়ে গেছে। অন্ধকার সময়। আরো
অন্ধকার হয়ে পরছে চারপাশ। ডিপ্রেশন,
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে
রোম্যান্টিকতা না, লড়াই করে বের করে
আনতে হবে।
এই সোশ্যাল মিডিয়াতে যারা যারা আছেন, আমার লেখা পড়েন, প্লিজ মনখারাপে, হতাশায়,একা লাগলে মেসেজ করুন। আমরা কেউ খারাপ ভাববো না। ডিপ্রেশন হলে হাত বাড়িয়ে দিন।
ডিপ্রেশন খুব সাধারণ এক বিষয়, লুকোবেন না।
আপনার গলা ছেড়ে গান গাইতে ইচ্ছে করলে গান,
টিকটকে ভিডিও বানাতে ইচ্ছে
করলে বানান, যা ভালো লাগছে
করুন। কোরোনার সাথে সাথে ডিপ্রেশনের বিরুদ্ধে ও আমাদের লড়তে হবে।
চলুন আমরা সবাই মিলে ঝলমলে রোদ আষ্টেপৃষ্টে
রেখে দেবোই। অন্ধকারকে গ্রাস করতে দেবো না, দেবো না, দেবো না। প্লিজ আরো বেঁধে বেঁধে থাকি। প্লিজ
একে অপরের সাথে কথা বলি খুব অসহায় লাগলে।
(সংগৃহীত)
কোন মন্তব্য নেই