পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে প্রশ্ন
চিঠিপত্র, সম্পাদক-সমীপেষু
অসমের এক সুনাম ধন্য বাংলা পত্রিকা নয়া ঠাহর এ অমল গুপ্ত (যাকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে সম্মান করি) মহাশয়ের একটি প্রতিবেদন পড়লাম,
খুব ভালো লাগল । কিন্তু আমার মনের কোনে কিছু প্রশ্ন জেগেছে যা না লিখে থাকতে পারলাম না,
ভারতীয় মিডিয়া গুলো কি সত্যিই এত উদার না কি এতদিন ঘুমোচ্ছিলেন?
হঠাত্ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বুক ফেটে যেতে লাগল (যদিও "পরিযায়ী" শব্দ টা ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের গায়ে আমাদের দেশের মিডিয়া কি করে সেঁটে দিল আমার অল্প বুদ্ধি তে বুঝতে পারছি না কারন তাহলে আমাদের দেশের সব সীমান্তে যে সব সেনারা আছেন তাদের কে পরিযায়ী সেনা বললে বোধহয় খুব ভুল হবে কি?)। আমাদের দেশের ঝকঝকে শহর গুলো ঝকঝকে করে কারা রাখছিল?
ওখানকার কলকারখানা গুলো সচল করে রেখেছিল কারা?
আর সেই শ্রমিক রা কি অবস্থায় দিন অতিবাহিত করত কোথায় থাকতো কীভাবে থাকতো এবং কত কোটি শ্রমিক ভিন্ রাজ্যের কোনোদিন কি খবর করেছে?
করেনি!! কারণ একটাই ঐ সব খবর ছাপলে মিডিয়া গুলোর ই ঠিক করে ভাত জুটবে না(যদিও মিডিয়ার ভাষায় বললে বলতে হয়,
"পাবলিক খাবে না")। ছাপাবে কি, মন্ত্রী নেতাদের মিথ্যে সংলাপ কারন তাতে রোজগার করা যায়। এতদিন মিডিয়া দেখিয়ে এসেছে ধাড়াভী বস্তি মুম্বইয়ের বুকে এক "কলঙ্ক" বলে,
আজ হঠাত্ করে সেই মিডিয়ার বুক ফেটে যাচ্ছে ধাড়াবীর এবং ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য, আসলে কি জানো এই মিডিয়া কে মাসিক খরচ যারা দেয় সেই সব পুঁজিপতি এবং চলচ্চিত্র জগতের লোকেদের ঘর বাগান গাড়ি কে পরিস্কার করবে তাদের কলকারখানার বোতাম কারা টিপবে ঝাঁ চকচকে শহর কে কারা চকচকে করে রাখবে, বড় শহরে বড় বড় অট্টালিকা কে বানাবে, পুঁজিপতিরা নিজেদের পুঁজি যাদের ঘাড়ে ভর দিয়ে এতদিন টার্নওভার করে এসেছে সেই শ্রমিকেরা আবার "পরিযায়ী" হয়ে ফিরে আসবে তো? সেই চিন্তাতেই বুক ফাটছে। জানিনা অমল গুপ্ত মহাশয় ও কখনো এই ধাড়াভী বস্তি বা ভিন্ রাজ্যের (পরিযায়ী) শ্রমিকদের সপক্ষে প্রতিবেদন করেছিলেন কিনা। আর একটা কথা না লিখে পারলাম না আমাদের দেশের, তথাকথিত জনদরদী আঁতেল বুদ্ধিজিবীরা এই সময়ে মুখে কুলুপ এঁটে গা ঢাকা দিয়েছেন। নেতা মন্ত্রীদের মিথ্যাচারন গুলো না হয় তোলা থাক যা ছেপে কিছু লোক পয়সা রোজগার করবে।।
আবেগের বশে অনেক কিছু লিখে ফেললাম,
অজান্তে কাউকে কষ্ট দিয়ে ফেললে ক্ষমা করবেন।
বিশ্বরূপ সেনগুপ্ত,
জামালপুর,
মুঙ্গের,
বিহার।
কোন মন্তব্য নেই