১৭ মে-র পর করোনা মোকাবিলায় সোমবার ফের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
দেশ মহামারী করোনার সঙ্গে লড়াই করছে। সেই লড়াইয়ে সামিল কেন্দ্র রাজ্য সবাই। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে চারটি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পঞ্চম বৈঠকটি তিনি করতে চলেছে সোমবার বিকেল তিনটেয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই বৈঠক হবে।
লকডাউন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রথম বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। এরপর প্রত্যেক দফার লকডাউনে এক একবার করে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পঞ্চম বৈঠকটি হতে চলেছে ১১ মে বিকেল ৩ টেয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা ছাড়াও থাকতে চলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। এছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিবরাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই তেলেঙ্গানা সরকার জানিয়েছে তারা এমাসের শেষ পর্যন্ত লকডাউন জারি রাখবে। ফলে বাকি রাজ্যগুলি কী পদক্ষেপ নিতে চায় তা প্রধানমন্ত্রী জানার চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি ১৭ মে লকডাউন শেষ হলে তা আবারও বাড়ানো হবে কিনা, অথবা লকডাউন তুলে নিলে পরিস্থিতি কীভাবে সামলানো হবে, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনার সম্ভাবনা। পাশাপাশি লকডাউনের মধ্যেও যেসব ক্ষেত্রগুলিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে, সেসব শিল্পগুলিরই বা পরিস্থিতি কী তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বৈঠকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৈঠক মূলত হতে পারে লকডাউন থেকে বেরিয়ে গিয়ে কীভাবে দেশব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে।
রবিবার ক্যাবিনেট সবিচ রাজীব গৌবা রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন। করোনা মোকাবিলা নিয়ে শনিবার তিনি একাধিক বৈঠক করেছিলেন। সেখানে ১৭ মে-র পর কোন কোন ক্ষেত্রগুলিকে মুক্ত করে দেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে নন হটস্পট এলাকাগুলিতে লকডাউনের নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। গ্রিন জোনে সরকারি বাস চলাচলও শুরু করা হয়েছে। কৃষিকাজ, পশুপালন ছাড়াও ছোট ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাজও শুরু করা হয়েছে। দেশের ৭৭৩ টি জেলাকে রেড, ওরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে ভাগ করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই