নতুন দিল্লি থেকে ডিব্রুগড় ও আগরতলা এক জোড়া ট্রেন চলবে, কলকাতা অভিমুখে কোনো ট্রেন যাবে না জানালেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সি পি আর ও শুভানন চন্দ
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : কাল ১২ মে থেকে প্রথম পর্যায়ে রেলমন্ত্রক ১৫টি যাত্রীবাহী ট্রেন চালাবে। নয়া দিল্লি থেকে আগরতলা, নয়া দিল্লি থেকে ডিব্রুগড় এক জোড়া করে বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেন চালাবে অসম। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের সুবিধা হবে। তবে কলকাতার দিকে অসম থেকে কোনো ট্রেন দেওয়া হয় নি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ অফিসার শুভানন চন্দ আজ একথা জানান। তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যা ৬ টা থেকে আই আর সি টি সি-র ওয়েবসাইট থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এছাড়া, রাজ্য সরকারের অনুরোধে শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। জানান, ওয়েটিং লিস্ট বা আর এ সি-র যাত্রীদের ট্রেনে চড়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। কেবল কনফার্ম টিকিটের যাত্রীদের, স্টেশনে থার্মাল স্ক্রিনিং করে, ট্রেনে চড়ার অনুমতি দেওয়া হবে। প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। করোনা সংক্রমণের সামান্য উপসর্গ থাকলে কনফার্ম টিকিট যাত্রীদের সফরের অনুমতি দেওয়া হবে না। ট্রেনে পানীয় জল ছাড়া আর
কোনো কিছু পরিবেশন করা হবে না বলে সি পি আরও চন্দ জানান। ত্রিপুরা থেকে আসা ট্রেন বদরপুর, গুয়াহাটি, কোকড়াঝাড়, এন জে পি, কাটিহার, ডিব্রুগড় দিল্লির ট্রেন মরিয়ানী, ডিমাপুর, লামডিং, স্টেশনে থামবে, দুটি ট্রেনই উত্তরবঙ্গের এন জে পি-র পর বিহার ঢুকে যাবে। মালদহ হয়ে কলকাতা অভিমুখে যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতি জটিল বলে হয়তো কলকাতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অসমে ১৩, ১৪ মে থেকে প্রতিদিন ১২,15০০ করে যাত্রী আসবে অসমে। প্রায় ৩ লক্ষ বাইরের রাজ্য থেকে মানুষ আসবে অসমে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আজ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পর্বত সমান চ্যালেঞ্জ আসছে। রাজ্যের শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ট্রেন চালু হলে প্রতি জেলাতে প্রায় ১০ হাজার করে মানুষ ঢুকবে। তাদের প্রত্যেককে স্ক্রিনিং করে নিজের নিজের বাড়িতে হোম কয়রেন্টিনে ১৪ দিন থাকতে হবে। গ্রামের মানুষদের সহযোগিতা করতে হবে। এই যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মানছে কি-না তা দেখভাল করার জন্য গ্রামে এবং শহরে নাগরিক কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই