Header Ads

আজমির ফেরতদের সরকারি কোয়রান্টাইনে না রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রদীপ দত্তরায়



নয়াঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আটকে পড়া ছাত্রছাত্রী এবং মানুষ যাদেরকে অসমে ফিরিয়ে আনা হয়েছে তাদের আনার পর বিভিন্ন জায়গায় চেকিং করা হয়েছে। তারপর গুয়াহাটি সরুসজাইতে রাখা হয়েছে। কিন্তু একটা দুর্ভাগ্যের বিষয় এবং আশ্চর্যের বিষয় যে কাছাড় করিমগঞ্জ হাইলাকান্দিতে যারা এসেছেন তাদেরকে হোম কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে। এরপরেও কিভাবে পজিটিভ হয়ে যান সেটা একটা আশ্চর্যের বিষয়। তারপর তারা এতদিন যেখানে আটকে ছিল ভাল ছিলেন। রাস্তায় চেকআপ হয়েছে। এখানে ঢোকার পরেই কিভাবে পজিটিভ ধরা পরে সেটা আমার মাথায় ঢুকছেনা। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছিলো কিনা এই নিয়ে সন্দেহের অবকাশ। এটা দুর্ভাগ্যের বিষয় যেখানে অসমে ৪৩ ছিল সেটা বেড়ে এখন হয়েছে ৫৮ হয়েছে। আমার মনে হয় লকডাউন থাকা অবস্থায় তাদের আগে আনা উচিত ছিল। কারণ এখন এই যে পজিটিভ রোগী পাওয়া যাচ্ছে আর এই যে লকডাউন খুলে দেওয়া হয়েছে তাতে গোটা বরাক উপত্যকায় সংমিশ্রণে আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে। তাদের পজিটিভ ধরা পড়ছে তাতে এলাকার বাসিন্দা এবং পরিবারের মানুষদের সংক্রমণ ঘটতে পারে। এতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। এ ব্যাপারে যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন তাহলে কাছাড় করিমগঞ্জ হাইলাকান্দিতে আরও রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। এটা আশ্চর্যের বিষয় এবং যারা এসেছেন তাদের মধ্যে পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। রাজস্থান থেকে যাদের আনা হয়েছে তাদের কিভাবে সরাসরি বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হল। বাইরে তারা আসবেন তাদের জন্য এই যে এতগুলো বিবাহবাসর যে বুকিং করে রাখা হয়েছে তাদের সেখানে কেন পাঠানো হলো না। এই নিয়ে একটা গভীর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এবং এর জন্য আমি মনে করি একটা তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ কাছাড় করিমগঞ্জ হাইলাকান্দিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে এবং ভয়ংকর রূপ নেবে বলে আমি মনে করি। তাই এ ব্যাপারে একটা তদন্ত হওয়া দরকার। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নজরে আনতে চাইছি অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন বাইরে থেকে আসা বন্ধ করুন। প্রয়োজনে লকডাউন আরো কড়াকড়ি করে বাইরে থেকে আনার ব্যবস্থা করা হোক। তাদের এনে সরাসরি কোয়ারিনটানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। তারপর লকডাউন শিথিল কিংবা খুলে দিলে আমাদের কোন আপত্তি থাকবেনা। আরেকটা দুর্ভাগ্যের বিষয় সরকারিভাবে মদের দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে, তাতে প্রতিটি দোকানে প্রচন্ড ভিড় হয়। এতে আরও সংক্রমণ বাড়ার আশংকা থেকে যায়। আমি মনে করি, এই জন্য সরকারের আরেকবার ভেবে দেখা উচিত দোকান বন্ধ করা যায় কিনা। এ ব্যাপারে আমি বিশেষ করে আরএসএস হিন্দু পরিষদ, বজরং দল তাদের কাছে অনুরোধ করবো যে আপনারা সব সময় মদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেন। তাই আপনারাও এই বিষটা ভেবে দেখুন। আকসার প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ দত্ত রায় আজ এ বিবৃতিতে এইসব অভিযোগ করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.