৪১ দিন পর গুয়াহাটি মহানগর, ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া, যোরহাট সহ ২৯টি গ্রিন জোন জেলা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলো, ছন্দে ফিরল
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি
: প্রায় ৪০ দিন পর গুয়াহাটি মহানগর সহ রাজ্যের ৩৩টি জেলার মধ্যে ২৯টি জেলার জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরল। ২৯টি গ্রিন জোন জেলাতে সরকারি বাস এস টি সি ৫০ শতাংশ চলাচল করছে। দু’জন যাত্রী নিয়ে অটো, টোটো ছুটছে, রিকশা, ঠেলার ভিড়, গুয়াহাটির ফেন্সি বাজার, চাঁদমারী, ভরলুমুখ, উলুবাড়ি প্রভৃতি জায়গায় নিত্যদিনের কোলাহল, যানজট পুরোনো ছবিতে ধরা পড়েছে, গনেশগুড়ি অঞ্চলে পুলিশকে লাউড স্পিকার হাতে নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানাতে দেখা যায়। কামরূপ জেলার ডেপুটি কমিশনার বিশ্বজিৎ পেগু আজ চেম্বার অফ কমার্স ও অন্যান্য ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে এক তৃতীয়াংশ দোকান খোলার আহবান জানান। আজ জনতা ভবনে কর্মচারীর সংখ্যা ছিল ৫০ শতাংশ। বিধানসভার কার্যলয়েও একই হার ছিল। উজানের ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া, যোরহাট শহরের স্বাভাবিক জীবন ফিরেছে। মিষ্টির দোকান, ফলের দোকান, রেস্তোরাগুলিও খুলেছে। তবে রেস্তোরাঁতে বসে খাওয়ার অনুমতি ছিল না। আজ আন্তঃ জেলার বাসও চলাচল করছে। বাইরের রাজ্য থেকে আজ কয়েকশো মানুষ নিজের নিজের রাজ্যে ফিরেছেন। তাদের শ্রীরামপুর, বক্সিরহাটের কয়রেন্টিন সেন্টারে ১৪ দিন রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। অরেঞ্জ জোন চার জেলা ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, মরিগাঁও ও বঙাইগাঁও জেলাতে মুদিখানা আর ঔষধের দোকান খোলা ছিল। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টা কারফিউ জারির আগেই আজ ৫.৩০ মিনিটের মধ্যে গুয়াহাটি মহানগরের রাজপথ নীরব, জনশূন্য। শুধু পুলিশ, এম্বুলেন্স আর আধা সামরিক বাহিনীর টহল। কারফিউর মাঝে মালবাহী ট্রাককে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই