চীনের সুপার পাওয়ার হওয়ার স্বপ্নে কাঁটা : চীনের বিরুদ্ধে আর্থিক যুদ্ধ শুরু করল জাপান, UK, আমেরিকা !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
কথায় আছে, অতি চালাকির গলায় দড়ি--এবার সম্ভবত এটাই ঘটতে চলেছে চীনের সাথে। প্রথমে পুরো বিশ্বে করোনা ছড়িয়ে, তথ্য গোপন করে ব্যাবসা করতে নেমেছিল চীন। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে চীনের কাছে যা তথ্য ছিল তা বিশ্বকে জানালে কোনোভাবেই এত প্রাণ যেত না। আর যদি ভাইরাসটি চীনের তৈরি কেমিক্যাল রাসায়নিক অস্ত্র হয়ে থাকে তাহলে তো কিছু বলার অপেক্ষাই রাখে না। তবে দেরিতে হলেও এখন বড় বড় দেশ চীনের চালাকি ধরে ফেলেছে। এক সময় ছিল যখন একমাত্র ভারত-ই চীনের কূট কাজের বিরোধিতা করতো। এখন পাকিস্তান ছাড়া প্রায় পুরো বিশ্ব চীনের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে পড়ছে।
চীন নিজের ভিটো পাওয়ারকে ব্যাবহার করে UNSC তে করোনা ভাইরাসের উপর আলোচনা আটকে দিচ্ছে। এমন অবস্থায় বিশ্বের দেশগুলি একটা প্রয়োজনীয় রাস্তা বের করে নিয়েছে চীনকে কোণঠাসা করার জন্য। চীনকে জব্দ করার কাজ প্ৰথম শুরু করেছে জাপান। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, যে সমস্ত জাপানী কোম্পানিগুলি চীনে রয়েছে তাদেরকে প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু করেছে জাপান। এর জন্য জাপান সরকার কোম্পানি বা ফ্যাক্টরীগুলির জন্য ২.২ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে।
এই আর্থিক সাহায্য সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছে জাপান সরকার। অন্যদিকে ইউনাইটেড কিংডম (UK) তাঁদের দেশে 5g টেকনোলজির জন্য চীনের কোম্পানি হুয়াবেকে সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন UK পুরো পাল্টি খেয়েছে। করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এই কোম্পানিকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বরিস জনসনের নেতৃত্বে থাকা সরকার।
আমেরিকা করোনা ভাইরাসের জন্য সরাসরি চীনকে দায়ী করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাইরাসটিকে চাইনিজ ভাইরাস বলেও দাবি করেছেন। হোয়াইট হাউসের ইকোনমি উপদেষ্টা বলেছেন আমেরিকা চীনে থাকা তাদের সমস্ত ফার্ম, কোম্পানিগুলিকে প্রতিস্থাপন করা নিয়ে বিবেচনা করছে। সব মিলিয়ে বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলি চীনকে অর্থিক দিক থেকে দুর্বল করার জন্য মাঠে নেমে পড়েছে এবং একটা উপযুক্ত রাস্তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে !
কোন মন্তব্য নেই