Header Ads

চীনকে কোণঠাসা করতে আরও সক্রিয় ট্রাম্প !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

বিশ্ব জুড়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার জন্য ফের চীনকেই দায়ী করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অ্যামেরিকার চাপে তাইওয়ান ঢুকলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংসদে।
মাঝে দুই দিন নীরব ছিলেন তিনি। সপ্তাহান্তে সাংবাদিক বৈঠক করে করোনা সংক্রান্ত তথ্যও দেননি। সোমবার ফের ক্যামেরার সামনে এলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিতর্কিত মন্তব্যের প্রথা বজায় রাখলেন। অ্যামেরিকায় করোনা ভাইরাস ছড়াতে শুরু করার পরেই চীনকে এক হাত নিয়েছিলেন তিনি। সোমবার তাঁর মন্তব্য, ''চীন চাইলে দেশের মধ্যেই সংক্রমণ আটকে রাখতে পারতো। গোটা বিশ্বে ছড়াতে দিতো না। কিন্তু চীন তা করেনি। আমরা খুব সিরিয়াস তদন্ত শুরু করেছি। চীনকে কৃতকর্মের ফল ভুগতে হবে।''

এ কথা অবশ্য এই প্রথম বললেন না ডনাল্ড ট্রাম্প। এর আগেও একাধিকবার বলেছেন। এক সময় করোনা ভাইরাসকে 'চীনা ভাইরাস' বলে দাবি করতেন তিনি। যার জেরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতি সংঘ তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছিল। এর পর ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের হয়ে কাজ করছে। যে কারণে প্রেসিডেন্টের নির্দেশে আপাতত ওই সংস্থাকে অর্থ দেওয়াও বন্ধ রেখেছে অ্যামেরিকা। সোমবার ফের সে প্রসঙ্গই তুললেন ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, চীন চাইলে আরও দ্রুত করোনার প্রকোপ বন্ধ
করতে পারতো। সে সুযোগ তাদের ছিল। মূল এলাকা থেকে ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য আরও অনেক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।
এদিকে এরই মধ্যে চীনকে উপেক্ষা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংসদে নিজেদের জায়গা পাকা করে নিয়েছে তাইওয়ান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংসদ হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতি নির্ধারক মঞ্চ। সেখানে তাইওয়ানের অংশগ্রহণে প্রবল আপত্তি ছিল চীনের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও তাইওয়ানকে জায়গা দিতে চায়নি। কিন্তু অ্যামেরিকার সমর্থনে তাইওয়ান নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। এ বিষয়ে সোমবার মার্কিন স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনাও হয়েছে তাইওয়ানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।
করোনা নিয়ে চীন এবং অ্যামেরিকার যে শব্দযুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে এ ঘটনা নতুন মাত্রা দেবে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সরাসরি না বললেও ট্রাম্পের ইঙ্গিতে স্পষ্ট, করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য তিনি চীনের 'সক্রিয়' ভূমিকার দিকে আঙুল তুলছেন।
অ্যামেরিকা একা নয়, বিশ্বের বহু দেশই করোনার সংক্রমণের জন্য আকারে ইঙ্গিতে চীনকেই দায়ী করছে। তারই মধ্যে চীনের কিছু ঘটনায় প্রশ্ন আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সম্প্রতি চীনের তিন ইন্টারনেট অ্যাকটিভিস্ট বা আন্দোলনকারী নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যাঁরা নিখোঁজ, তাঁদেরই পরিবারের এক সদস্য খবরটি প্রকাশ করেছেন। অভিযোগ, ওই তিন আন্দোলনকারী চীনে করোনা ভাইরাসের উৎস এবং সংক্রমণ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করে ফেলেছিলেন। তারপরেই তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান। কেন তাঁরা হারিয়ে গেলেন? করোনার কী এমন তথ্য হাতে এসেছিল তাঁদের? কারা তুলে নিয়ে গেল তাঁদের? বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চীনের প্রশাসনই এর জন্য দায়ী। গোপন তথ্য যাতে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে না যায়, সে কারণেই তাঁদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও চীনের প্রশাসন বা সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে কিছু জানায়নি !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.