পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়ায় তিন কাশ্মীর ছাত্রকে পেটাল জনতা! দায়ের দেশদ্রোহের মামলা

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

কর্ণাটকের হুবলির KLE ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তিন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সমর্থনে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ১৪ই ফেব্রুয়ারি যখন গোটা দেশ গত বছরে পুলওয়ামায় হওয়া জঙ্গি হামলায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাচ্ছিল তখন এই দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়।
ভিডিও (https://twitter.com/NewsRaghav/status/122867 7392522022912) ভাইরাল হওয়ার পর সবার মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। কর্ণাটকের পুলিশ তৎকাল পদক্ষেপ নিয়ে তিন ছাত্রকে গ্রেফতার করে। কলেজের প্রিন্সিপ্যাল জানান, কলেজ থেকেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, এরপরই পুলিশ এদের গ্রেফতার করে। উনি এও জানান যে, ওই ছাত্রদের কলেজ থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে।

পুলিশের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনজন ছাত্রই কাশ্মীরের বাসিন্দা। তিনজন নিজের হোস্টেল রুমে পাকিস্তানের উপর একটি লেখা গান গাইছিল, আর পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়েছিল। এই গান শুরু হওয়ার আগে বাসিত নামের এক ছাত্র বলে, আমার নাম বাসিত আমি কাশ্মীরের সাপোরে থাকি। এরা আমার বন্ধু আমির আর তালিব। আমরা এখানে ঠিক আছি ইনশাল্লাহ। কোন চিন্তা করার দরকার নেই, এরপর তাঁরা পাকিস্তানের প্রশংসায় গান করে আর পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেয়।
পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে এই ছাত্ররা কাশ্মীরের শোপিয়ানের বাসিন্দা। কলেজ প্রশাসনের অভিযোগে এই তিনজকে গ্রেফতার করা হয়। হুবলি-ধারবাড় এর পুলিশ কমিশনার আর দিলীপ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছিলাম যে KLE ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলোজিতে পাকিস্তানের সমর্থনে স্লোগান দেওয়া হয়েছে। তারা সেটির একটি ভিডিও বানিয়েছে, যেটা ভাইরাল হয়েছে। গোকুল রোড স্টেশনের ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে ওই ছাত্রদের গ্রেফতার করে।”
আজ এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর হিন্দু সংগঠন বিরোধ প্রদর্শন করে। এক প্রদর্শনকারীর অভিযোগে পুলিশ পদক্ষেপ নিয়ে তিন যুবককে গ্রেফতার করে। যখন পুলিশ কর্মীরা এদের গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন কয়েকজন এদের উপর হামলা করে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে আর তিন জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ এর মামলা দায়ের হয়েছে।