Header Ads

অসমের খিলঞ্জীয়া ভূমিপুত্রের জাতি-মাটি-ভেটি রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ : মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল

অসমে পাঁচ লক্ষের একজনেরও বেশি যদি বাঙালি হিন্দু হয়ে থাকে তবে তিনি রাজনীতি ত্যাগ করবেন : হিমন্তবিশ্ব শর্মা

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি, 15 জানুয়ারি : অসমের খিলঞ্জীয়া ভূমিপপত্রের সঙ্গে আমি প্রতারণা করতে পারবো না আমি অসমেরই সন্তান আমি কোথায় যাব? 13 জানুয়ারির গভীর রাতে অসম বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল এই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, অসমের খিলঞ্জীয়া ভূমিপুত্রের জাতি-মাটি-ভেটি রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ এমন কোনো কাজ করব না, যা জাতি বিরোধী তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কে বলেন, আইনটির সম্পর্কে জনমানসে ভুল অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে অপপ্রচার চলছে আসু, জাতীয়তাবাদী যুবছাত্র পরিষদ প্রভূতি আন্দোলনকারী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অসমের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি আমার উপরে আপনারা আস্থা স্থাপন করতে পারেন শংকরদেব, মাধবদেব, আজান ফকিরের জীবনাদর্শে বিশ্বাসী আমরা ভ্রাতৃত্ববোধ সম্প্রতির সংন্বয়ের লক্ষেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি আপনারা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন
তপশিলভুক্ত জাতি এবং তপশিলভুক্ত উপজাতি গোষ্ঠীর সংরক্ষণের সময়সীমা আরও দশ বছর বৃদ্ধি এবং অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের আইন সভায় সংরক্ষণ বাতিলের জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসেছিল বিল দুটি বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় তারপর কংগ্রেস, এআইইউডিএফ-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা হয় সেই আলোচনায় অংশগ্রহণ করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, বিরোধী দলপতি দেবব্রত শইকিয়া, কমলাক্ষ দে পুরকাযস্থ, এআইইউডিএফের হাফিজ বসির আহমেদ প্রমুখ কা-এর উপর বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা তথ্য প্রমাণ দেখিয়ে জোরালো বক্তব্য রাখেন তিনি বলেন, অসমে পাঁচ লক্ষের একজনেরও বেশি যদি বাঙালি হিন্দু হয়ে থাকে তবে তিনি রাজনীতি ত্যাগ করবেন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার তার কোনো বাসনা নেই কংগ্রস আমলে 52 জন বিধায়ক তার পক্ষে ছিল তখনও মুখ্যমন্ত্রী হতে পারিনি, আর এখন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই বিজেপি জয়লাভ তরান্বিত করার জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলেও ইঙ্গিত দেন হিমন্ত বলেন, অসম চুক্তির ফলে বহু প্রশ্ন এখনও অমিমাংসিত হয়ে আছে ভুল তথ্যের উপর অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে প্রকৃতার্থে 1966 সালের পয়লা জানুয়ারি বিদেশি শনাক্তের ভিত্তিবর্ষ, 1967 সালে ভোটার তালিকাই হচ্ছে বৈধ নাগরিকদের মূল ভিত সেটাই নাগরিকপঞ্জী হতে পারতো অনায়াসে তিনি বলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ প্রমুখদের উপস্থিতিতে শিলচরে বসেছিলেন, 2014 সালে 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত বাঙালি হিন্দুরা অসমে এলেও তাদেরকে শরণার্থী হিসাবে গ্রহণ করা হবে রাজ্যের জনবিন্যাসের প্রেক্ষিতে হিমন্ত বলেন, বদরুদ্দিন আজমলরাই ভবিষ্যতে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসবেন শিলাদিত্যরা হাজার চেষ্টা করেও কোনোদিন মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন দেখতে পারবেন না অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন তথ্য সহকারে জানান, শুধু বাঙালি হিন্দুদের বাংলাভাষী বলে অপবাদ দিয়ে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু তথ্য প্রমাণ বলছে, নিম্ন অসমের বরপেটা জেলার বাঘবর, কলগাছিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে বাঙালি হিন্দুর জনসংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে অথচ বাংলাভাষা বলার মানুষের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে নিম্ন অসমের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মানুষ এখন বাংলাতেই কথা বলছেন অথচ বাংলাভাষী মুসলিমদের কথা আন্দোলনকারীরা বলছেন না, কেবল স্বল্প সংখ্যক বাংলাভাষী বাঙালি হিন্দুদের কথাই বলা হচ্ছে

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.