Header Ads

মিশন ২০২০-তে তৃণমূলে প্রার্থীর যোগ্যতামান প্রশান্তর পরীক্ষায় পাস হলে মনোনয়ন !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 

প্রশান্ত-কৌশলের ওপরেই ভরসা রাখছে তৃণমূল। ২০২০-র পুরসভা নির্বাচন জিততে তাঁকেই পূর্ণ দায়িত্ব দিচ্ছেন মমতা। তিনিই স্থির করবেন প্রার্থী। বিজ্ঞান মেনে অঙ্ক কষে প্রার্থী স্থির করতে ইতিমধ্যেই তাঁর টিমকে নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। 

নিছক আবেগ নয়, তৃণমূলে এবার প্রার্থীর যোগ্যতামান নির্ধারণ করা হচ্ছে বাস্তব মেনেই। লোকসভায় ধাক্কা খাওয়ার পর প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করা হয়েছিল। উপ নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোরের স্ট্র্যাটেজি সফল হয়েছে। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন প্রশান্ত।
এই অবস্থায় ২০২০ নির্বাচনের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে পিকের উপরই। মুকুল চলে যাওয়ার পর যে ফাঁক তৈরি হয়েছিল, তা পূরণ করে দিয়েছেন তিনি--এমনটাই তৃণমূলের বিশ্বাস। অঙ্ক কষে পিকে তৃণমূলের টিকিট বিতরণ করবেন বলেই তৃণমূল বিশ্বাস করতে
শুরু করেছে, তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে যে পথে জয় এসেছে, পুরসভার জয় আসবে সেই পথেই। তাই পিকের উপরই ভরসা। পিকে-ই ঠিক করবেন পুরসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন কারা।
অঙ্ক কষে পিকে তৃণমূলের টিকিট বিতরণ করবেন। সে জন্য কাজ করছে পিকে-বাহিনী। পুরসভার ওয়ার্ড বা ব্লকে ব্লকে ঘুরছে পিকের টিম। ইতিমধ্যে প্রশা্ন্ত স্থির করে দিয়েছেন, প্রার্থী হতে গেলে কী কী যোগ্যতা লাগবে। যোগত্যমান মেপেই তিনি পুরসভায় প্রার্থী করার ব্যাপারে তাঁর টিমকে বলে দিয়েছেন। সেইমতো পুরসভার ওয়ার্ড বা ব্লকে ব্লকে ঘুরছে পিকের টিম। তাঁরা কথা বলছেন মানুষের সঙ্গে, এলাকার জনপ্রিয়তা যাচাই করেই এই টিম প্রার্থীর বেছে দেবেন। তা থেকে মমতা স্থির করবেন চূড়ান্ত প্রার্থী।
তৃণমূলের প্রার্থী হতে যে যোগ্যতা দরকার--যোগ্য, নিষ্ঠাবান ও সৎ প্রার্থীর খোঁজ তো চলছেই, সেইসঙ্গে পিকের টিম জানার চেষ্টা চালাচ্ছে কোন কাউন্সিলর কেমন কাজ করছে, সেই কাউন্সিলরকে ফের জনগণ চাইছে কি না। সব তথ্যই যাচাই করা হচ্ছে। তার ভিত্তিতেই নিরূপণ হচ্ছে শাসক দলের পুরনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.