Header Ads

১৯৭১-এ ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশীদের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন, পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের কেন দেননি?- অমিত শাহ !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, এই বিল কোন সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নয়। দেশের ০.১ শতাংশও সংখ্যালঘু বিরোধী নয় এই বিল। কিন্তু বিরোধীরা বলেন, এই বিল সবার সমান অধিকারের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের এই অভিযোগের পর অমিত শাহ বলেন, নাগরিকত্ব বিলে সমান অধিকার নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। অমিত শাহ বলেন, ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশীদের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন, পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের উনি তা দেননি। ১৯৭১ সালে পাক হিন্দুদের জন্য কেন এমন করা হয়েছিল?

অমিত শাহ বলেন, আমি এই বিল নিয়ে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। এই বিলে কোথাও মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলা নেই নেই। আমার বিবৃতির পর বিরোধীদেরও বলার সুযোগ দেওয়া হবে। সমস্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। তথ্য গুলোকে বিকৃত করে সদনকে বিভ্রান্ত করবেন না দয়া করে।
এরপর বিল নিয়ে আলোচনা হওয়ার সময় অমিত শাহ বলেন, আমি গোটা দেশকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই বিল সংবিধানের কোন ধারাকে লঙ্ঘন করবে না। সংবিধানের ১৪ ধারার উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, এই ধারা আইন বানানোর জন্য কাউকে বাধা দেয়না। এটাই প্রথমবার নাগরিকত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কংগ্রেস শাসনে উগান্ডা থেকে আসা মানুষদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।
অমিত শাহ বলেন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম অত্যাচার হয়। ধার্মিক প্রতারণা ও বঞ্চনা হয়। কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করেছিল। যদি দেশ ভাগ না হত, তাহলে এই বিলের কোন দরকারই ছিলনা। কংগ্রেস আমাদের বাধ্য করেছে। যদি কোন মুসলিম আমাদের আইন অনুযায়ী আবেদন করে, তাহলে তার কথাও অবশ্যই শোনা হবে। যেহেতু তাদের সাথে ধার্মিক অত্যাচার ও বঞ্চনা হয়নি, সেহেতু এই বিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের জন্য আনা হয়েছে। তাই এই বিলে ছ’টি ধর্ম হিন্দু, বৌদ্ধ, ইসাই, জৈন, শিখ আর পারসিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন আছে--শুধুমাত্র হিন্দুদের জন্য নয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.