Header Ads

ব্রহ্মপুত্র পুষ্কর মহোৎসবের শুভারম্ভ করলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল


ব্রহ্মপুত্র পুষ্কর  উৎসব দেশের রাষ্ট্রীয় ঐক্যকে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। মুখ্যমন্ত্রী 
  
দেবযানী পাটিকর

ব্রহ্মপুত্র নদের কিনারে" ব্রহ্মপুত্র পুষ্কর মহোৎসব "নামের নদী উৎসবের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল । মহালক্ষী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট চেন্নাই  আর তিরুপতি বালাজি সেবা সমিতি গুয়াহাটির সহযোগে নগরের ভরলু মুখে ব্রহ্মপুত্র নদীর কিনারে মঙ্গলবার থেকে  শুরু হয়েছে এই উৎসবের। প্রথমবারের মতো এই উৎসব এখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী । ১২ দিন ধরে চলবে এই পুষ্কর মহোৎসব। উদ্যোক্তারা আশা করছেন যে এই উৎসবে প্রায় ২ লাখ ভক্তের সমাগম হবে ।উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে এই উৎসবে দেশের রাষ্ট্রীয় ঐক্যকে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।এর বাজেট প্রায় ৭৫ লাখ টাকা হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। ১২ দিন ধরে চলবে ব্রম্মপুত্রের আরতী, হোমযজ্ঞও করা হবে।



উল্লেখ্য যে হিন্দু ধর্মের অনুসারে পুষ্কর নদীর উৎসব। পুষ্করের শাব্দিক অর্থ পালন করা।মান্যতা  রয়েছে যে ভারতের সমস্ত নদীর সৃজন ভগবান ব্রহ্মা করেছেন ।কিন্তু মাত্র ১২ টি নদীকেই রাশির সাথে যুক্ত করা হয়েছে ।এই ১২টি নদীর নিজের নিজের মহত্ব রয়েছে ।কিন্তু প্রত্যেক বছরই একটি নদীকেই বিশেষভাবে পুজো করা হয় ,যখন রাশি অনুসারে বৃহস্পতি (গুরু) গ্রহ পুস্করের সাথে সেই নদীতে প্রবেশ করে ,।যখনই এই ঘটনা ঘটে তখনই পালন করা হয় পুষ্কর উৎসব ।এই উৎসবের ১২দিন পর্যন্ত চলে।সেই সময় বৃহস্পতি নিজেই সেই নদীতে বাস করেন ।এই ১২ দিন নদীকে  অত্যন্ত পবিত্র  মানা হয়। ভক্তেরা সে সময় নদীতে স্নান করেন।  লোকের বিশ্বাস  যে এই সময়ে নদীতে স্নান করলে সমস্ত পাপ ক্ষয় হয়। যেভাবে মানা যায় যে কুম্ভের সময় নদীতে অমৃতের বাস হয় ।সেই  সময় সেই নদীতে স্নান করা অত্যন্ত পূর্ণ বলে মানা হয়। ঠিক সেইভাবে পুষ্কর মহোৎসবের সময় সেই নদীতে স্নান করলে সমস্ত পাপ ধুয়ে যায় ও পুণ্য প্রাপ্তি হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.