Header Ads

জোড়া ঘূর্ণাবর্ত ফাঁদ পেতেছে ঝাড়খণ্ডের আকাশে, দুর্যোগের ভ্রুকুটি পুজোর বাংলাতেও

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : এক-আধটা নয়, একেবারে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে ঝাড়খণ্ডের আকাশে। তার জেরে ঝাড়খণ্ড থেকে ওড়িশা উপকূল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। একইসঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ওড়িশার উপকূল ছাড়িয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও এর প্রভাব পড়বে। তবে মূলত ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা ওড়িশার উত্তর উপকূলে।
শনিবার ওড়িশার উত্তর উপকূলে ভারী বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার সংযোগস্থলে এই দুটি ঘূর্ণাবর্ত এক হয়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি সংঘটিত করবে। ওড়িশার সম্বলপুর, ভদ্রক, বালাসোর, কটক, সুন্দরগড়, মযূরভঞ্জ প্রভৃতি জেলায় ব্যাপক বৃষ্টি হবে।
পশ্চিমবঙ্গেও বৃষ্টি চলবে আগামী দুদিন। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস জানিয়ে দিল, বৃষ্টির ভ্রুকুটি রয়েছে অষ্টমী-নবমীতেও। বাঙালির বড় উৎসবে এবার রেহাই নেই বৃষ্টির। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অক্ষরেখা সক্রিয় হওয়ায় বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা।
হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, সপ্তমীর সন্ধ্যেয় বৃষ্টি হতে পারে। সেই পূর্বাভাস মতোই সন্ধ্যের পর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জেরে বঙালির আনন্দ-উন্মাদনায় খানিক বাধা পড়ে। দুপরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়। আর সন্ধ্যেয় কলকাতা ও উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি হয়।
অষ্টমী অর্থাৎ রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে জায়গা বিশেষে। টানা বৃষ্টি না হলেও ১৫ মিনিট-আধঘণ্টার বৃষ্টিতে মাটি হতে পারে ঠাকুর দেখা। অষ্টমীর দুপুরে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.