Header Ads

নির্বাচন কমিশনের বড় সিদ্ধান্ত, NRC লিস্টের বাইরে থাকা মানুষেরাও দিতে পারবেন ভোট

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : নির্বাচন কমিশন অসমে তাদেরও ভোট দেওয়ার অধিকার দিয়েছে, যাদের নাম রাষ্ট্রীয় নাগরিক রেজিস্টার (NRC)-এ নেই। যদিও এনআরসি লিস্টে বাইরে থাকা মানুষদের এই অধিকার ততদিন পর্যন্ত দিয়েছে, যতদিন না নাগরিক ট্রাইবিউনাল তাঁদের বিরুদ্ধে কোন নির্নয় না নিচ্ছে। এনআরসি লিস্টের বাইরে থাকা মানুষদের ‘ডি ভোটার” শ্রেণীতে রাখা হয়েছে।
সন্দেহভাজন অথবা ‘ডি ভোটার” অসমে ভোটারদের একটি শ্রেণী, এই শ্রেণীতে তাঁদেরই রাখা হয়, যাদের নাগরিকতা অনিশ্চিত অথবা বিবাদিত। ১৯৯৭ সালে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের ভোটারদের তালিকা সংশোধন করার সময় এই শ্রেণীর সূচনা করে।
নির্বাচন কমিশন অনুযায়ী, নাগরিক ট্রাইবিউনাল-এর নির্ণয় আসা পর্যন্ত ভোটার লিস্টে থাকা সমস্ত ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। প্রসঙ্গত, অসমে ৩১ আগস্টে NRC এর ফাইনাল লিস্ট জারি করা হয়েছেসএনআরসির এই ফাইনাল লিস্টে প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের নাম নেই। অসমে যাদের নাম এনআরসির ফাইনাল লিস্টে নেই, তাঁরা এর বিরুদ্ধে নাগরিক ট্রাইবিউনালে যেতে পারবে, আর তাঁদের দাবি অনুযায়ী তদন্ত চলবে।
অসমে এনআরসির ফাইনাল লিস্ট জারি হওয়ার পর গোটা দেশে এনআরসি চালু করার কথা উঠছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ প্রথমেই ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, এনআরসি গোটা দেশে কার্যকারী হবে। তার এই বয়ানকে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ আর উত্তর প্রদেশ সমেত সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা সহমত জানিয়ে নিজের রাজ্যে এনআরসি করার দাবি করেছেন। যদিও পশিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার এনআরসি'র বিরুদ্ধে সুর চরিয়েছেন।
৩১ জুলাই ২০১৮ সালে অসমে এনআরসির ফাইনাল লিস্ট জারি করা হয়েছিল। তখন ওই লিস্টে নাম রাখার জন্য অসমের ৩.২৯ কোটি মানুষ আবেদন করেছিল। যাদের মধ্যে ৪০.০৭ মানুষ এনআরসির  লিস্টে জায়গা পাননি। অসম ভারতের প্রথম রাজ্য যেখানে ভারতীয় নাগরিকদের নাম যুক্ত করার জন্য ১৯৫১ এর পর এনআরসি আপডেট করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.