Header Ads

সমগ্র উত্তর ভারত জুড়ে প্রবল বৃষ্টি, মৃতের সংখ্যা ১২০ ছাড়াল, বাতিল রাষ্ট্রপতির সফর

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : সারা দেশব্যাপী বৃষ্টির প্রথম চারদিনে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১২০ ছুঁয়েছে। এর মধ্যে বিহার ও উত্তরপ্রদেশেই মৃতের সংখ্যাই সর্বাধিক। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বর্ষা দেরিতে আসার ফল ভুগতে হচ্ছে। এদিকে এই চারদিনে বিহারে মৃতের সংখ্যা ২৭ ছুঁয়েছে। বন্যা ও জলস্ফীতির জেরে বন্ধ রেল যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্কুল, কলেজ। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্য পরিষেবাও।
এবারের বৃষ্টিতে যেসব জায়গায় সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বিহারের রাজধানী পাটনা। জলস্তর বাড়তে থাকায় বেশ কিছু এলাকা ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে। মাটি খোঁড়ার কাজে ব্যবহৃত ক্রেনকে ব্যবহার করা হচ্ছে পাটনার মানুষদের উদ্ধারে। গঙ্গা ছাড়াও, কোশী, গণ্ডক, বাগমতি এবং মহানন্দার জল বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
প্রবল বৃষ্টির জেলে বিহারের ভাগলপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি এবং দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। যার জেরে বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনা। ভাগলপুরে এক মহিলাসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বারারি, খাঞ্জাপুর এবং নাথনগর থেকেও মৃত্য়ুর খবর এসেছে। দানাপুরে অটোর ওপর গাছ পড়ে যাওয়ায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কৈমুর জেলার ভাবুয়া থেকে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। খাগাড়িয়ার ৩ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে জলে ডুবে। নওদায় নদীর জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছেন পাঁচজন।
পূর্ব মধ্য রেলের সদর দফতর হাজিপুরে। সেখান থেকে জানানো হয়েছে, রেলপথের ওপর জল জমে থাকায় বেশিরভাগ ট্রেনই বাতিল করা হয়েছে। স্বল্প দূরত্বের ট্রেনগুলিকে অন্যপথে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও বেশ কিছু রেল ব্রিজের ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব মধ্য রেলের পিআরও জানিয়েছেন, পাটনা দিয়ে যাওয়া সব কটি ট্রেনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দানাপুর স্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য। 
এদিকে গোএয়ারের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি বারানসী, মুম্বই, লখনৌ থেকে চলাচলকারী বিমানগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যাঁরা বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছেন, তাঁদেরকে হাতে বেশি সময় নিয়ে বেরনোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
একটি মতে উত্তরপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৭৯। অন্য একটি সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ১০০ ছুঁইছুঁই। শুধু শনিবারেই ২৫ জনেনর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার মারা গিয়েছেন ১৮ জন। আর ৩৬ জন মারা গিয়েছেন বৃহস্পতিবারে। 
গুজরাত থেকেও বন্যায় মৃত্যুর খবর এসেছে। জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৩ মহিলার। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টির জেরে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। শনিবার এই রাজ্যগুলিতে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৩ জন ।
প্রবল বৃষ্টির জেরে রবিবার ঝাড়খণ্ডের গুমলায় রাষ্ট্রপতি রারমনাথ কোবিন্দের সফর বাতিল হয়ে যায়। তবে সফল বাতিল নিয়ে সরকারিভাবে কোনও কারণ দেখানো হয়নি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.