Header Ads

হিন্দু মেয়েদের ইসলাম কবুল করানো আমার মিশন : ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ মৌলবী !

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : পাকিস্তানে হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরকরণ তথা জোরপূর্বক ধর্ম পরিবর্তন নিত্য ঘটনা।পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করা হয় এবং বলপূর্বক  ধর্মান্তর করানোর পর তাদের মুসলিমদের সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। ১১থেকে ১৬ বছর বয়সী হিন্দু মেয়েরা এর সবথেকে বেশি শিকার হয়। ইতিমধ্যে সিন্ধু প্রদেশের এক মৌলবী হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এবং এ নিয়ে মন্তব্যও করেছেন। প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, মৌলভী আবদুল খালিক স্বীকার করেছেন যে তিনি হিন্দু মেয়েদেরকে মুসলমান বানানোর একটি মিশন চালাচ্ছেন !
মৌলবী আবদুল বলেন যে তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই কাজটি করে চলেছেন এবং আগামী দিনেও এই কাজটি চালিয়ে যাবেন। তিনি আরও জানান যে তার ৯জন সন্তান রয়েছে এবং তারা প্রত্যেকে ধর্ম পরিবর্তনের এই মিশনকে অনুসরণ করে কাজ করবে। মৌলবী বলেন যেমন আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের অনুসরণ করে এই কাজ করছি, আমার পরবর্তী প্রজন্মও সেই কাজ করবে। এ ছাড়া মৌলভী আবদুল খালিক মিথা আরও বলেন যে তিনি  দরগায় হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরের ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিবেদন অনুসারে, ধর্ম রূপান্তরের  বৃহত্তম আড্ডা হলো ধরকি শহরের ভরচণ্ডি দরগাহ। এটি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের খুবই ঘনিষ্ঠ আবদুল খালিক মিথা চালান। 
সূত্র অনুসারে জানা গেছে যে, গত নয় বছরে এই দরগায় ৪৫০ টি হিন্দু মেয়ের ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। মৌলভী আবদুল খালিক মিথা জানান যে, মেয়েদের তাদের বাড়ি থেকে দরগায় আনতে তিনি কোনও দল পাঠান না, মেয়েরা স্বইচ্ছায়  আসেন বলে তার দাবি। আর এই কারণেই আমি তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করি। আমার পূর্বপুরুষরা হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করে ইসলামের সেবা করেছেন আর আমিও এই মিশনে আছি। 
এমন কী মৌলভী নিজেও হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ৭৮ বছর বয়সী মেথা জানান যে তাঁর স্ত্রী মারা গেছে, তাই তাঁর অনুগামীরা চান যে তিনি যাতে আরও একটি বিয়ে করেন এবং বিয়েটা যেন হিন্দু মেয়ের সাথে হয় ! পাকিস্তানকে অমুসলিম মুক্ত করার একটা বড়ো দায়িত্ব আবদুল খালিক এর ওপরে রয়েছে। আর আব্দুল খালিক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর খুবই ঘনিষ্ঠ তাই প্রশাসনিক মামলা হওয়ার কোনো সুযোগ তার বিরুদ্ধে নেই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.