পৃথিবীর যেই প্রান্ত থেকেই হিন্দুরা আসুক না কেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে : দেবশ্রী চৌধুরী
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : অসমে এনআরসি চালু নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। ভারতীয় নাগরিকের খাতা থেকে অসমের ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই। আবার তাঁদের মধ্যে বাঙালি হিন্দু নাগরিকের সংখ্যা বেশি। এর আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ পরিস্কার করে দিয়েছিলেন যে, হিন্দু শরণার্থীদের কোনরকম ক্ষতি করবে না কেন্দ্র সরকার। তাঁদের ভারতে বসবাস করার সুবন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে মোদী সরকারের তরফ থেকে।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর বলেছিলেন যে, ভিন্ন দেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেবে মোদী সরকার। মোদী সরকারের এই ঘোষণার পর খুশির হাওয়া বয়ে গেছিল ভিন দেশে থাকা অত্যাচারিত হিন্দুদের মধ্যে।
এরপর মোদী সরকার ঘোষণা করেছিল যে, অসম থেকে প্রতিটি অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করে তাঁদের বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আর এই জন্য অসমে এনআরসি চালু করা হয়েছিল। অসমে এনআরসি চালু করার জন্য বিজেপি বিরোধী প্রতিটি দল কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল কিন্তু এতেও কিছু লাভ হয় নি।
২০১৯ এর নির্বাচনী ইস্তেহারে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, ক্ষমতায় এলেই অসম থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াবে সরকার। আর সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা তাদের কাজে এগিয়ে চলছে।
অসমের পর বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ সমেত আরও কয়েকটি রাজ্যেএনআরসি প্রক্রিয়া চালু করার কথা শোনা যাচ্ছে। আর এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর একটি বড় মন্তব্য সামনে এলো। শুক্রবার সকালে দাড়িভিটে উর্দু শিক্ষকের বিরোধিতা করে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো রাজেশ আর তাপসের মৃত্যুর এক বছর পূরণ হওয়ার পর একটি দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নিতে যান তিনি।
আর সেখানে তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে হিন্দুরা যদি ভারতে আশ্রয় নিতে আসে, তাহলে তাদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, দরকার পড়লে গোটা দেশেই এনআরসি চালু হবে। আর অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে ভারত থেকে তাড়ানো হবে। তাঁর এই বক্তব্য পুরোপুরি পরস্পরবিরোধী বলেই মনে করছে মানুষ।
কোন মন্তব্য নেই