শোভন-বৈশাখী কি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন, বিধানসভায় ইস্তফার পরই জোর জল্পনা
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : তৃণমূলের সঙ্গে এখনও দূরত্ব কমেনি, বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতার প্রিয় কানন। তবে কি সত্যিই এবার তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছেন তৃণমূলের সঙ্গে? কানন ওরফে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ফের জল্পনার পারদ চড়ছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই রটেছে, শোভন-বৈশাখ বুধবারই যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে।
তৃণমূল উঠে পড়ে লেগেছিল, শোভন চট্টোপাধ্যায় যেনতেন প্রকারে সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরাতে। তবে সবরকম চেষ্টা করেও তৃণমূল এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ। ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে স্পিকার বিমান বন্দ্যেপাধ্যায়কে দিয়ে পর্যন্ত চেষ্টা করা হয়েছে। তবুও দূরত্ব কমল না, বরং আরও বেড়ে গেল শোভনের এক সিদ্ধান্তে।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনের পরও বরফ গলল না। বিধানসভার ফিশারি স্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি। ফ্যাক্স-বার্তা পাঠিয়ে তিনি ইস্তফার কথা জানিয়ে দেন স্পিকারকে। এরপরই তাঁর বিজেপি যোগ নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়। বুধবারই তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে রটনা শুরু হয়েছে।
এর আগেও একাধিকবার তাঁকে নিয়ে নানা রটনা হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে শোভন-বৈশাখীকে প্রার্থী করা হতে পারে বিজেপিতে। এমন খবর রটেছিল। তারপর লোকসভা ভোটের পরই যখন তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক চলছে, তখন তাদের দিল্লি যাত্রাও সেই সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। তারপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায় গোপন বৈঠখ সারেন। কিন্তু শোভন-বৈশাখীর বিস্ফোরক সাংবাদিক সম্মেলনের পর থেকে ফের হাওয়া বিজেপির দিকে বইতে শুরু করেছে।
গত শনিবার স্পিকার ও শোভনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। তখনই কথার ফাঁকে বিমানবাবু তাঁকে অনুরোধ করেন অভিমান ভুলে দলের কাজে মন দিতে। কিন্তু শোভন যে সে বান্দা নন, তা বুঝিয়ে দিলেন তিনদিনের মধ্যেই। তিনি বিধানসভা না গিয়ে মেল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিলেন বিধানসভায়।
কোন মন্তব্য নেই