আগেও বলেছি, আবারও বলছি, কাশ্মীর হিন্দুদের জমি, এখানে পাকিস্তানের অধিকার নেই : ইসলামিক ধর্মগুরু
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : ভারতের সেকুলার ও কট্টরপন্থী লোকেদের এটা মনে হয় যে কাশ্মীর মুসলিমদের। কিন্তু কাশ্মীর ইসলামের থেকেও বেশি পুরোনো এমন মত এক ইসলামিক বিশেষজ্ঞের। তার দাবি, কাশ্মীর এই পৃথিবীতে তখন থেকে আছে যখন ইসলামের নাম নিশানও এই পৃথিবীতে ছিল না। কাশ্মীর হাজার বছরের বেশি পুরোনো ভূমি আর এর নামও কাশ্মীর পড়েছে হিন্দু ঋষি কাশ্যপের নামের উপর ভিত্তি করে। ঋষি কাশ্যপই কাশ্মীরে জনবসতি বসিয়ে ছিলেন। কিন্তু পরে আক্রমণকারীদের ও সেকুলারদের কারণে কাশ্মীর থেকে হিন্দুদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু যদি আপনি কাউকে তার বাড়ি থেকে বার করে দেন তবে সেই বাড়িটি আপনার হয়ে যায় না, আপনি শুধু সেইখানে কব্জা করে বসে আছেন। বাড়ি দখল মানে এই নয় যে বাড়িটি আপনার হয়ে গেছে, বাড়িটি তারই থাকে যে বানিয়েছে। ইমাম তৌহিদী খুব ভালো করেই জানেন যে কাশ্মীর কার।
ইমাম তৌহিদী আগেও এই কথা বলেছেন আজও বললেন, কাশ্মীর হিন্দুদের ভূমি। পাকিস্তান ও উন্মাদী কট্টরপন্থীরা কাশ্মীরকে নিয়ে যে দাবী করে সেটি ভুল। কাশ্মীর হিন্দুদের ভূমি এবং তারাই এটিকে সমৃদ্ধ করেছে। আর এই তথ্যটিকে কেউ চাপা দিতে পারে না। বর্তমানে কাশ্মীরের বড়ো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জিহাদ তথা ইসলামের নামে কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করা। এর পেছনে অনেক বিদেশী শক্তির হাতও রয়েছে।
বিদেশ থেকে বহু টাকা পাকিস্তান ও কাশ্মীরে ফান্ডিং হয় ওয়াহাবি বিচারধারাকে ছড়ানোর জন্য। যার জন্য কাশ্মীর আতঙ্কবাদের আঁতুরঘরে পরিণত হয়েছে। এই বিষয়ে বাকি বুদ্ধিজীবীরা মুখ লুকিয়ে থাকলেও ইমাম তৌহিদী খোলাখুলিভাবে বিষয়টির উপর আলোকপাত করেছেন। বৰ্তমান সরকার কাশ্মীরকে আরো একবার স্বর্গে পরিণত করার পথে পা বাড়িয়ে দিয়েছে। কাশ্মীর থেকে ধারা 370 বিলুপ্ত করা হয়েছে। এই ধারার জন্য সেনা হাত খুলে কাশ্মীরের আতঙ্কবাদী,পাথরবাজদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারতো না। কাশ্মীরে এতদিন আলাদা সংবিধান ছিল। তবে এবার পরিস্থিতির পরিবর্তন আসবে।
৩৭০ বিলুপ্ত করে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ দুটি কেন্দ্রশাসিত প্রদেশ তৈরি করা হয়েছে। এবার থেকে জম্মু-কাশ্মীরের উপর সরাসির কেন্দ্রের শাসন থাকবে এবং ভারতের সংবিধান অনুযায়ী চলবে। যেখানে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ কোনোভাবেই করা যাবে না।
কোন মন্তব্য নেই