Header Ads

অসমের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ভয়াবহ, ৮২ হাজার ট্রান্সফরমার বর্ধিত লোড বহন করতে পারছে না, লোডশেডিং বেড়ে গেছে

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ
 বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হবে, পবিত্র রাখী বন্ধন উৎসবও একই দিনে। এই উৎসবের মাঝে বিদ্যুৎ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে। গ্রাম অসমের মানুষ টিভির পর্দায় স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি দেখতে পারবে তো? দেশজুড়ে তাপমাত্রার প্রভাবের ফলে অসমের তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি ছুঁয়ে গেছে। এই দাবদহ থেকে রক্ষা পেতে গুয়াহাটি মহানগরে ঘরে ঘরে এসি, কুলার, ফ্যান কেনার ধুম পড়ে গেছে।

 ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
ট্রান্সফর্মারগুলো বর্ধিত লোড নিতে পারছে না, ফিউজ এর তার ছিঁড়ে যাচ্ছে। পরিণতি হিসাবে ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ের ফলে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ২৪ ঘন্টার বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্ৰুতি দিয়ে বিজেপি জোট সরকার দিসপুরে ক্ষমতাসীন হয়েছিল। রাজধানী নগরীর অবস্থা যদি এমন হয় তবে গ্রাম অসমের অবস্থা কি করুন তা সহজেই অনুমেয়।

 রাজ্যে প্রায় ৫৫ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহক আছে, প্রায় ৮২ হাজার ট্রান্সফর্মার আছে, বিদ্যুৎয়ের চাহিদা ক্রমশ বেড়েই চলেছে  অধিকাংশ ট্রান্সফরমার বর্ধিত লোড নিতে পারছে না বলে আসাম বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে। গত বছর গ্রীষ্মকালে পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎএর চাহিদা ছিল ১৮০০ মেগাওয়াট এবছর বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২১০০ মেগাওয়াট। রাজ্যের নিজস্ব উৎপাদন মাত্র ৩০০ মেগাওয়াট, চড়া দামে অন্য রাজ্য এবং জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ কিনছে রাজ্য।

বর্তমানে লাকুয়া এবং নামরূপ গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও দুটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কার্বি লাংপি ও মিনট্রেঙ ক্ষুদ্র জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এই চারটি প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। অধিকাংশ রাজ্য কম দামের জল বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তুলেছে, দক্ষিণ ভারতে তো আনবিক ব্যবস্থার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আছে, কোনও আন্দোলন হয়না। জম্মু ও কাশ্মীর, সিকিম, মনিপুর, আন্দামান, প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল, ভুটানে বৃহৎ আকারের জল বিদ্যুৎ প্রকল্প আছে, সেই রাজ্যে তো আন্দোলন হয় না। অথচ প্রতিবেশী রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী নিম্ন সুবনশিরি জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ ৭০ ভাগ সম্পূর্ণ হওয়া সত্বেও অসমের উন্নয়ন চাইনা শুধু আন্দোলন করে আর চাঁদা তোলা সংগঠনগুলো গত ৪, ৫ বছর থেকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছে।

উজান আসামে আবার গতকাল থেকে বাঁধ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। রাজ্যে অঢেল কয়লা সম্পদ, মার্গেরিটা, লিডু অঞ্চলে কয়লা ব্যবহার করে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যে শালিখি এবং লেখাপানি গ্রামে ২০০০ বিঘা জমি, প্রকল্পের জন্যে প্রতি ঘন্টায় ৩৩০০ ঘন মিটার জলের ব্যবস্থাও করা হয়। ২, ২৮ মিলিয়ন   মেট্রিক টন কয়লার ব্যবস্থা করার জন্যে কেন্দ্রকে অনুরোধ করা হয়। সরকারি তথ্যে একথা জানা যায়। রাজনৈতিক নেতা, দালাল, উগ্রপন্থী, একাংশ পুলিশ, তিনসুকিয়া জেলা প্রশাসন, আবগারি, বন বিভাগ সবাই মিলে কয়েক শো তথাকথিত কোম্পানি খুলে মার্গেরিটা লিডুর ওপেন কাস্ট কয়লা লুট করছে, এই প্রথম কংগ্রেস সাংসদ প্ৰদ্যুৎ বরদলৈ দেশবাসীকে জানিয়ে দিলেন। এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রন হলেও লুট বন্ধ হয়নি, ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্যে আর কয়লা পাওয়া যাবে তো?




কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.