Header Ads

মধ্যরাতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হল শোভন-পার্থ-বৈশাখীর, কোন পথে রাজ্য রাজনীতি

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : 'দুষ্টু' লোকেরা যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের কাননের সঙ্গে। তাই কালবিলম্ব না করে মধ্যরাতেই শোভনের ফ্ল্যাটে হাজির পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের মহাসচিবের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়ে গেল শোভনের। আর একা শোভন নন, বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও হাজির ছিলেন সেই বৈঠকে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শোভনকে আবার তৃণমূলে সক্রিয় করে তুলতেই পার্থর এই উদ্যোগ। 
কী কথা হল পুরনো দুই সহযোদ্ধার? তা নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে কি শোভন ফের ফিরছেন সক্রিয় রাজনীতিতে? নাকি নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের গন্ধ মিলতে শুরু করেছে ২০২১-এর আগে। রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমেই সরগরম হচ্ছে রাজ্য-রাজনীতিতে। রাত পৌনে ১০টা থেকে রাত ১টা ৩৮ পর্যন্ত বৈঠক। তা কি নেহাতই। নিশ্চয়ই নয়। শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে এখন জোর তরজা বঙ্গ রাজনীতিতে।
দুই সহযোদ্ধা, একজন বেহালা পুর্বের বিধায়ক, অপর জন পশ্চিমের। তারা ৩ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট বৈঠকের নির্যাস কী, তা নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। যেটুকু আভাস দিলেন বৈশাখীই। তিনি বলেন, দুই সহকর্মী একের অপরের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন, ঘটনাচক্রে সেখানে আমি ছিলাম এই পর্যন্তই। এর বাইরে কিছু নয়। তিনি এমন আভাসও দিয়েছেন- কিছু আন-ইউজুয়াল কিছু ঘটতে পারে। এই বৈঠক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হয়েছে, নাকি পার্থদার নিজের উদ্যোগ তা আমি বলতে পারব না।
তবে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। যে বিজেপিকে ঊনিশেই ফিনিশ করার ডাক দিয়েছিলেন নেত্রী, সেই বিজেপিরই উত্থান ঘটেছে রাজ্যে। তারপর থেকেই তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের দলে নিয়ে বহরে বাড়তে চেষ্টা করছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে শোভন-বৈশাখীর কাছেও প্রস্তাব গিয়েছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার। সেটা আটকাতেই পার্থবাবু চেষ্টা করছেন বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।  
কারণ, তৃণমূল এই পরিস্থিতিতে শোভনকে হারাতে চাইছে না কোনওমতেই। শোভন বিজেপিতে যোগ দিলে তা বড় ক্ষতি হিসেবে চিহ্নিত হবে তৃণমূলের পক্ষে। তাই শোভনের মান ভাঙিয়ে ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরানোর চেষ্টাই এই বৈঠকের উদ্দেশ্য। 
তৃণমূল মনে করে, শোভন দক্ষ সংগঠক। বছরাবধিকাল নিষ্ক্রিয় থাকলেও শোভনের প্রভাব রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। উল্লেখ্য, মন্ত্রী-মেয়রের পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতিও ছিলেন।
এর আগে ফিরহাদ হাকিম ফোন করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। শোভনের বাড়িতে আগে দূতও পাঠানো হয়েছিল। এরপর পার্থবাবু স্বয়ং গেলেন। শোভনকে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে অনুরোধ করলেন। বৈশাখীকেও জায়গা দেওয়ার কথা জানালেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বৈশাখীদেবীও জানান তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক অনেক কথা হয়েছে। তবে শোভনকে সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরাতে কী কী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার আভাস মেলেনি সে অর্থে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.