সানাউল্লাহর পর এবার খোলা আকাশের নিচে মধুবালারও, বিনাদোষে জেল খেটে মুক্তি পেলেন ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটিঃ নিরক্ষর গ্রামবাসী সানাউল্লাহর বদলে কামরূপ জেলার বোকোর সীমান্ত পুলিশ চন্দ্র মল দাস সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সেনা অফিসার সানাউল্লাহকে বিদেশি বানিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠালেন। সানাউল্লাহ বিনা অপরাধে ১১ দিন জেল খাটলেন।
ছবি, সৌঃ নিউজ১৮অসম
সীমান্ত পুলিশের কিন্তু আজও শাস্তি হল না। চিরাঙ জেলার বিজনীর বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা মধুবালা নম দাস দীর্ঘ ১৫ বছর আগে মারা যান, তার নামেও বাংলাদেশি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছিল, তার সন্ধানে এসে বিজনীর সীমন্ত পুলিশ কোনও নথি পত্র পরীক্ষা না করে এক প্রতিদ্বন্দ্বী কন্যার মা মধুবালা মণ্ডলকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে কোকড়াঝাড়ের ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দেয়। তার কোনও বিচার হল না।
অত্যন্ত গরিব এই মহিলাকে বুধবার জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যার অভিযোগের ওপরে এক বিনা অপরাধিকে প্রায় তিন বছর জেল খাটানো হল, সেই সীমান্ত পুলিশের কিন্তু শাস্তি হল না। এই হচ্ছে বিজেপি সরকারের সীমান্ত পুলিশ, যাকে তাকে বিনা বিচারে ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরে দেওয়া যেতে পারে । ডিটেনশন ক্যাম্পের নামে সাধারণ জেলে চোর ডাকাতদের সঙ্গে এই সব বিনাঅপরাধীকে বন্দি করে রাখা হয়। ঠিক মতো পেটপুরে খেতে দেওয়া হয় না, উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন ক্যাম্পে মারা গেছে। দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলি লাগাতারভাবে চরম অবিচারের নিন্দা করে যাচ্ছে। কিন্তু বিজেপি সরকার নীরব,নির্বিকার। সানাউল্লাহর পর মধুবালাকে এদিন মুক্তি দেওয়া হল, প্রমাণ হয়ে গেল সরকারি প্রশাসনের চরম গাফিলতি।
কোন মন্তব্য নেই