সানাউল্লা নয় , অন্য ব্যক্তির বয়ান নিয়েছিল সীমান্ত পুলিশ
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটিঃ কামরূপ জেলার বোকো, ছয়গাঁও অঞ্চলের বাসিন্দা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসার ক্যাপ্টেন সানাউল্লাহকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। বোকোর সীমান্ত অফিসার চন্দ্র মোহন দাস জানিয়েছেন তিনি একই নামের অন্য দিন হাজিরা করা এক নিরীক্ষর ব্যক্তির হলফনামা নিয়ে ছিলেন, তিনি সেনা অফিসার সানা উল্লাহ নয়। এই বিস্ফোরক স্বিকোরোক্তি দেবার পর আঙুল উঠল বোকোর ২ নম্বর বিদেশি ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে। অসমের বিশিষ্ট আইনজীবী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী বিনা দোষে কার্গিল যুদ্ধের সেনানী ক্যাপ্টেন সানাউল্লাহ হাই কোর্টে রিট আবেদন করে বিদেশি ট্রাইব্যুনাল, সীমান্ত পুলিশের বিচার ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করবেন। শনিবার তিনি বিদেশি ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, বিচারপতিদের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। সরকারের নির্দেশ থাকে যে বিচারপতি বেশি করে লোককে বিদেশি বানাতে পারবেন তাঁর চাকরিটা পাকা হবে। পদোন্নতি ও হবে, যেকোনও ভারতীয় নাগরিককে বিদেশি বানানো হচ্ছে নথিপত্রগুলো ভাল করে পরীক্ষাও করা হয় না। তিনি বলেন শুধু ট্রাইবুনাল চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ করা বিচারপতিরা নয়, সীমান্ত পুলিশ একপক্ষভাবে কোনও তদন্ত না করে, নথিপত্র পরীক্ষা না করে যাকে খুশি বিদেশি বানাচ্ছে। জেলার তদন্তকারী পুলিশ সুপার রাও মারাত্বক ভুল করছে। আইনজীবী ওদুদ আমানের পেশ করা এই রিট আবেদনের পক্ষে ওকালতি করে বিশিষ্ট আইনজীবী চৌধুরী এই প্রতিবেদককে আরও বলেন, বিদেশি ট্রাইবুনালগুলি বিচার বিভাগের অধীনে নয়, সেক্ষেত্রে নিয়মনীতি নেই, যা খুশি করছে, আজ সেনা অফিসারের মামলাটি প্রকাশ পেয়েছে। ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা হাজার হাজার সানাউল্লাহ বানাচ্ছে। কোনও প্রতিবাদ হচ্ছে না। তিনি বলেন অপরাধী বিচারপতি, সীমান্ত পুলিশ দের কড়া শাস্তি দেওয়া না হয় তবে অবিচার চলবেই। বিধায়ক রেকিবুদ্দিন আহমেদ পবিত্র রমজান মাসে বিনা দোষে প্রাক্তন সেনা অফিসারকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এদিকে এইসব মানসিক চাপে সানাউল্লার পত্নী সানিমা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনী সানাউল্লার পাশে দাঁড়িয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই