Header Ads

পশ্চিমবঙ্গের ৯টি কেন্দ্ৰে প্ৰচারের দিন কমাল কমিশন


ছবি, সৌঃইন্ডিয়া টিভি 
নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, কোলকাতাঃ শেষ দফায় পশ্চিমবঙ্গের ৯টি কেন্দ্ৰে প্ৰচারের দিন কমাল কমিশন। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার পর থেকে কোনও প্ৰচার করতে পারবে না। নজির বিহীনভাবে প্ৰচার শেষের সময় এগিয়ে আনা হয়েছে প্ৰায় ২০ ঘন্টা। প্ৰথাগতভাবে শুক্ৰবার সন্ধ্যে ৬ টার সময় রাজ্যের ৯টি লোকসভা কেন্দ্ৰের প্ৰচার শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ প্ৰয়োগ করে তা এগিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা শুরুর সময়টা নিয়েই আপত্তি বিরোধীদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অভিযোগ করেছেন- প্ৰধানমন্ত্ৰী সুবিধার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। কারণ এদিনই রাজ্যে দুটি সভা মোদির। প্ৰধানমন্ত্ৰী সভা শেষে নিষেধাজ্ঞার সময় শুরু হচ্ছে বলে মমতার মতোই মনে করছে কংগ্ৰেস, বিএসপি সমেত অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও। কমিশনের একের পর এক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্ৰী। কমিশনের নিৰ্দেশের প্ৰতিবাদে এদিন মোমবাতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন জনসভায় তিনি সেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছএন, কোনওভাবেই তাঁকে আটকানো যাবে না। ‘খুন’ হয়ে যেতে পারেন। শেষদফার প্রচারে শেষ দিনে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মথুরাপুরের সভায় তিনি বলেন, দুর্ঘটনা ঘটিয়ে তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে। তবে কোনও রকম ভয় দেখিয়েই তাঁকে আটকানো যাবে না বলে স্পষ্ট জানান তৃণমূল নেত্রী। মথুরাপুরের সভা থেকে ‘বঙ্গ মহিলা বাহিনী’ তৈরি করার ডাক দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, এই বাহিনী হবে জনগণের পাহারাদার। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি, বন্দুক কেড়ে নেবে। বাংলায় কোনও গুলি চলবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ আপনার এবং আপনার ভাইপোর জমিদারি নয়, এটা ভারতের অটুট অংশ। ২৩ মে বাংলার সব বঞ্চনার জবাব দেবে বাংলার মানুষ। লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার শেষ লগ্নে দমদমে প্রচারে এসে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন বিজেপি সুপ্ৰিমো নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি বিজেপি বিরোধী জোটকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, কয়েকদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর দাবিদারদের পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। এখনও ভোট শেষ হলনা, এগজিট পোলের ফলাফলও আসেনি। তার আগেই বিরোধীরা হারের আভাস পেয়ে গিয়েছে, এভাবেই কটাক্ষ করেছেন মোদি। এরপরই তিনি দাবি করেন, ‘বাংলাই বিজেপিকে ৩০০ পার করাবে।’ পাশাপাশি এদিন তিনি নতুন ভোটারদের তাঁকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে বাংলার রাজনীতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। শেষদফার ভোটের প্রচারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের জনসভায় তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজেপি সুপ্ৰিমো নরেন্দ্র মোদি। তাঁর অভিযোগ, ‘তৃণমূলের গুন্ডারাই তাণ্ডব চালিয়েছে। ওরাই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে। এখন সারদা, নারদা কেলেঙ্কারির মতো প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছেন দিদি।’ তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর দাপটে বাংলায় গণতন্ত্র বিপন্ন বলে কটাক্ষ করেন মোদি। বিজেপিই একমাত্র শক্তি যারা তৃণমূলকে হারাতে পারে। প্রত্যয়ী ভাষায় মত প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর মতে, বিজেপিই বাংলায় শাসকদেলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রথম থেকে সরব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ, বিজেপির একের পর এক কার্যালয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দখল করে নিচ্ছে। বাংলার এই পরিস্থিতির জন্য একমাত্র মমতাই দায়ী বলে অভিযোগ করেন মোদি। কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পে নিজেদের স্টিকার লাগিয়ে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন, ‘স্পিড ব্রেকার দিদি’-র পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘স্টিকার দিদি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন নরেন্দ্ৰ মোদি। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.