Header Ads

শিলচর-গুয়াহাটি প্যাসেঞ্জারে চলন্ত ট্রেনে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন এক মহিলা

 
এই সেই কন্যা যার জন্ম চলন্ত ট্ৰেনে হয়েছে। পরে হাফলং সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসায় মা ও কন্যা দুজনেই বৰ্তমানে সুস্থ।
বিপ্লব দেব, হাফলংঃ গুয়াহাটি-শিলচর ফাষ্ট প্যাসেঞ্জার চলন্ত ট্রেনে শুক্রবার শিশু কন্যার জন্ম দিলেন এক মহিলা। এদিন  দাওটুহাজা সবুজাই গ্রামের বছর ৩৬ এর গর্ভবতী মহিলা নমিতা লংমাইলাইকে স্বামী কেসাব লংমাইলাই হাফলং সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দাওটুহাজা থেকে গুয়াহাটি-শিলচর ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনে ওঠার কিছু সময় পরই নমিতার প্রসব বেদনা ওঠে। সঙ্গে ওই মহিলার সাহায্যে এগিয়ে আসেন ট্রেনের কামরায় থাকা যাত্রী সহ টিটি ও আরপিএফ। তাছাড়া ওই একই কামরায় গুয়াহাটি থেকে শিলচর যাচ্ছিল গুয়াহাটি এমএমসি হাসপাতালের চিকিৎসক অঞ্জলি গোস্বামী নার্স শুক্লা সরকার সঙ্গে ছিল গুয়াহাটি নেমকেয়ার হাসপাতালের নার্সিং স্টুডেন্টসরা। এদের তত্বাবধানেই চলন্ত ট্রেনের মধ্যে নমিতা লংমাইলাই এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তারপর নিউহাফলং স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছনোর পর সেখান থেকে নমিতা ও সদ্যজাত শিশু কন্যাকে হাফলং সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য বর্তমানে মা কন্যা সন্তানটি সুস্থ রয়েছে বলে জানান  নমিতার স্বামী কেসাব লংমাইলাই। উল্লেখ্য, দাওটুহাজা থেকে সদর শহর হাফলঙের সঙ্গে সড়কপথের যোগাযোগ নেই বললেই চলে। দাওটুহাজা থেকে হাফলং আসার কোনও পূর্ত সড়ক নেই তাই ট্রেনই একমাত্র ভরসা। তারমধ্যে দাওটুহাজাতে শুধুমাত্র শিলচর-গুয়াহাটি-শিলচর ট্রেনটি থামে। তাছাড়া দাওটুহাজায় আর কোন ট্রেনের স্টপেজ নেই। তাই দাওটুহাজা ও ওয়াদ্রেনডিসা এলাকার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এক দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.