Header Ads

পৃথিবার ১০ লক্ষ প্ৰজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পথে, রিপোৰ্ট আইপিবিইএস-এর


প্ৰতীকী ছবি
রাষ্ট্ৰপুঞ্জঃ পৃথিবীর ৮০ লক্ষ প্ৰজাতির মধ্যে ১০ লক্ষ প্ৰজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পথে। এর জন্য প্ৰত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ভাবে দায়ী মানুষই। দিন কয়েক আগে রাষ্ট্ৰপুঞ্জের এক রিপোৰ্টে এই তথ্য প্ৰকাশ্যে এসেছে। রিপোৰ্টটি প্ৰকাশ করেছে রাষ্ট্ৰপুঞ্জের ‘ইন্টারগভৰ্নমেন্টাল সায়েন্স-পলিসি প্ল্যাটফৰ্ম অন বায়োডাইভাৰ্সিটি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম সাৰ্ভিসেস’ (আইপিবিইএস)। ৫০ টি দেশের ১৪৫ জন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে তৈরি কমিটি এই রিপোৰ্ট তৈরি করেছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে- জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং বেপরোয়া ভাবে প্ৰাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসের ফলে বিপন্ন ওই সব প্ৰজাতি। আগের তুনায় ১০ থেকে ১০০ গুণ দ্ৰুত গতিতে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে এরা। বাসস্থান কমে যাওয়া, প্ৰাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার, জলবায়ু পরিবৰ্তন এবং দূষণ এর মূল কারণ। এ সমস্ত কিছু পেছনে রয়েছে মানুষ। বিপদে ৪০ শতাংশেরও বেসি উভচর, নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে সামুদ্ৰিক স্তন্যপায়ী প্ৰাণীদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি। ভূখণ্ডের ৭৫ শতাংশ প্ৰকৃতি বদলে গিয়েছে। জনসংখ্যাবৃদ্ধির জন্য এই সমস্ত কিছু ঘটেছে। রিপোৰ্টে দাবি করা হয়েছে- গত ৫০ বছরে জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। ৩৭০ কোটি থেকে বেড়ে ৭৬০ কোটি হয়েছে। এর মধ্যে ভারতে জনসংখ্যা ১২৮ কোটি, চিন প্ৰথম স্থানে, ১৪২ কোটি। চাষবাস ও পশুপালনের জন্যই ভূখণ্ডের এক-তৃতীয়াংশ এবং স্বচ্ছ জলের ৭৫ শতাংশ ব্যবহার হয়ে যায়। এই রোপোৰ্টের সহ লেখক স্যান্ড্ৰা ডিয়াজের কথায়- ‘‘এই গ্ৰহের সামান্য কিছু অংশ এখনও মানুষের হাতে পড়িন। তাই অক্ষত রয়েছে।’’ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন- ২০১৫ সালের মধ্যে সামুদ্ৰিক খাদ্য উৎসের এক-তৃতীয়াংশ শেষ করে ফেলেছে মানুষ। গাছ কাটা দ্বিগুণ হয়ে গেছে, এর মধ্যে বেশিরভাগই বেআইনীভাবে। ১৯৮০ সালের পর থেকে সমুদ্ৰে প্লাস্টিক দূষণ দশ গুণ বেড়েছে। প্ৰতি বছর ৩০ থেকে ৪০ কোটি টন বৰ্জ্ৰ্য মিশছে জলে। সমুদ্ৰে তৈরি হয়েছে ‘মৃত্যু এলাকা’। বিজ্ঞানীদের মতে সবটা জুড়লে ব্ৰিটেনের থেকেও বড়। প্ৰকৃতিবিজ্ঞানীদের মতে বন্যা রুখতে হবে, জল এবং বায়ুদূষণ ঠেকাতে হবে, তবেই ভবিষ্যত প্ৰজন্মকে সুন্দর পৃথিবী উপহার দেওয়া সম্ভব। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.