Header Ads

বর্ষার মরশুম এর জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি রেল প্রশাসনের, ৫ মাসের জন্য ৬,৫০০ কিলোমিটার রেলপথ পাহারা দিতে ১,৬০০বেশি কর্মী নিয়োগ


প্রতীকী ছবি
দেবযানী পাটিকর, গুয়াহাটিঃ সমাগত বর্ষাকাল এই বর্ষার মরসুমের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে রেল প্রশাসন । এই বর্ষার সময়ে যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার জন্য উত্তর পূর্ব রেলওয়ে যথেষ্ট কর্মী তথা প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রস্তুত করে রেখেছে। ৬,৫০০ কিলোমিটারের বেশি রেলপথ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল পশ্চিমবঙ্গ, বিহারকে নিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ক্ষেত্রাধিকারে বিগত বেশ কিছু মাস ধরে এই সমস্ত কর্মীদের তথা সামগ্রী তৈরি করে রাখা হয়েছে। উঁচু-নিচু সমভূমি পাহাড়ি অঞ্চলকে নিয়ে  বিভিন্ন ধরনের এক বিস্তৃত ভৌগোলিক খন্ডে বিস্তারিত  রেলপথে বর্ষার সময় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জন্য এক চ্যালেঞ্জের সময় হয়ে পড়ে ।এর সাথে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর জন্য এই অঞ্চলটিতে প্রতিবছর এপ্রিল থেকে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত বার্ষিক ৯০ শতাংশ বৃষ্টিতে ভূমিস্খলন, রেললাইনে, বিচ্ছিন্ন হওয়া, সেতু ভেঙে পড়া , সেতু ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ আরো কঠিন করে তোলে । সেই জন্য রেলওয়ে রেলপথ সমূহকে সুরক্ষিত ও ভালো অবস্থায় রাখার জন্য এবং রেল যাত্রী সুরক্ষার সাথে যাতে কোনো ধরনের আপোষ না করতে লাগে । বর্ষার সময় এর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুদ করণ, নালা নর্দমা,পরিষ্কার করা সেতু ইত্যাদি বিপজ্জনক মাত্রায় চিহ্নিতকরণ ইত্যাদির মতো প্রাক বর্ষার প্রস্তুতির কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে । আর গত বুধবার থেকে ২৪ ঘণ্টা রেলপথের সুরক্ষার জন্য প্রতিটি দলের দু'জন করে প্রহরী সন্নিবিষ্ট করে ৮১৩ জনপ্রহরী  কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে ।এই নিরীক্ষণ ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বা বৃষ্টি বেশি হলে আরো অধিক সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই প্রহরীদের জিপিএস, ট্র্যাকার, জ্যাকেট রেইনকোট এবং পৃথক ওয়াটারপ্রুফ ট্রাউজার হেলমেট, সেফটি সু , ইত্যাদির মতো আধুনিক সুবিধা প্রদান করা হয়েছে । রাত্রের দিকে সমস্ত রেলপথ সমূহ রাত্রি ৮ টা থেকে ১১:৩০ পর্যন্ত এবং রাত্রি ১২:৩০ থেকে ৪টা পর্যন্ত দুবার করে নিরীক্ষণ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেল চলাচল বিঘ্ন  করতে পারে প্রতিটি দলকে একটি করে ওয়াকিটকি আর মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছে।সতর্কতা বার্তার আগেই স্টেশন থেকে রওনা হওয়া রেল চালককে সতর্ক করে দেওয়া ,প্রহরী দলকে কপ ডিটেনেটর প্রদান করা হয়েছে।  এই প্রহরী দলসমূহ জিপিএসট্র্যাকারের এর সাহায্যে পাঁচটা মন্ডলীর  নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে  নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রহরী দলসমূহ ছাড়াও  ভূমিস্খলন, বিপদসীমার সামনে জলের স্রোত থাকা সেতু ইত্যাদির মতো বিপজ্জনক স্থানে স্থায়ী প্রহরীর নিয়োজিত করা হয়েছে । বহু ক্ষেত্রে সর্তকতা স্বত্তেও ভূমিস্খলন হওয়া তথা সেতু ভাসিয়ে নেওয়া ইত্যাদি মতো ঘটনা সংঘটিত হয়।এই ধরনের ঘটনার  সম্মুখীন হলে খুব কম সময়ের ভিতর  পুনরায় সাংস্থাপনের কাজ সম্পন্ন করার বোল্ডার, বালি, সেতু নির্মাণ কাজে নির্মিত বিভিন্ন অংশ ইত্যাদি মনসুন রিজার্ভ স্টক ওয়েগনে বোঝাই করে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্টক করে রাখা হয়েছে। যে কোন সময়ে সঞ্চালন করতে পারে ২৩৫ টি এ ধরনের ওয়াগণ সমগ্র উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ২৭ টি স্থানে তৈরি করে রাখার সাথে অন্য ১৬২ স্থানে এই সামগ্রী অতিরিক্তভাবে মজুদ করে রাখা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.