Header Ads

বৃহস্পতিবার রাতে গুয়াহাটি-শিলচর স্পেশাল এক্সপ্রেস ট্রেনে মহিলার সন্তান প্রসব

  
                                              
  বিপ্লব দেব, হাফলংঃ অন্তঃসত্বা স্ত্রী-কে অসহায় অবস্থায় বেঙ্গালরুতে একা ফেলে পালিয়ে ছিল তার স্বামী সুনীল গৌড়। শেষে অসহায় অবস্থায় কোন কিছু বুঝে উঠতে না পেরে একাই বেঙ্গালরু থেকে ট্রেনে গুয়াহাটি চলে আসেন অন্তঃসত্বা মহিলা পূজা গৌড়। এবং সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় গুয়াহাটি থেকে ১৫৬১১ গুয়াহাটি-শিলচর স্পেশাল এক্সপ্রেস করে করিমগঞ্জ জেলার তিলভূমের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন পূজা গৌড়। কিন্তু ট্রেনটি লামডিং আসার পরই পূজার প্রসব যন্ত্রনা ওঠে। সে সময় ট্রেনে কর্তব্যরত ট্রেন সুপারিনট্যান্ট জয়দীপ দে ট্রেনের রিজার্ভেশন তালিকা ঘাটাঘাটি করে দেখেন ট্রেনের ২ এসি কামরার ২৪ নম্বর আসনে রয়েছেন বিকাশ নামের একজন চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে আসা হয় ওই অন্তঃসত্বা মহিলার কাছে কিন্তু চিকিৎসক বিকাশ একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এরই মধ্যে ট্রেনে সন্ধান মেলে স্বপ্না বৈদ্য নামের এক নার্সের তবে ততক্ষণে মাইবাং স্টেশন ছেড়ে চলে যায় ট্রেনটি অবশেষে রাত ১২ টা ১০ মিনিটে চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই নার্সের সাহায্যে এক শিশু সন্তানের জন্ম দেয় পূজা। ততক্ষণে ট্রেন দাওটুহাজা স্টেশনে পৌঁছে গেছে। সেখানে ট্রেনকে প্রায় দেড়ঘন্টা থামিয়ে রাখা হয়। সে সময় দাওটুহাজা স্টেশনে কর্তব্যরত স্টেশনমাষ্টার নিজের সরকারি আবাসনে গিয়ে প্রসূতি ওই মহিলার জন্য গরমজল চা ও বিস্কুট এনে দেন। তারপর প্রসূতি ওই মহিলা একটু সুস্থ বোধ করার পর ট্রেনটি দাওটুহাজা স্টেশন থেকে রওয়ানা হয়। অবশেষে ভোরে ট্রেনটি বদরপুর স্টেশনে পৌঁছনোর পর রেলবিভাগের পক্ষ থেকে অ্যাম্বুল্যান্স দিয়ে চিকিৎসার জন্য বদরপুর রেলওয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে মহিলা পূজা গৌড় ও তার নবজাতক শিশু সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছে। তবে ওই মহিলার স্বামী সুনীল গৌড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে রেলওয়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে। কিন্তু ফোনে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। অবশেষে পূজা গৌড়ের অন্য এক আত্মীয়র সাথে যোগাযোগ করতে পেড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনে কর্তব্যরত রেলকর্মী ও ট্রেনের যাত্রীরা এই অসহায় মহিলার সাহায্যে এগিয়ে এসে মানবতার এক বিরল দৃষ্টান্তের স্থাপন করলেন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.