Header Ads

হাফলং পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগের অতিরিক্ত সঞ্চালককে শোকজ জেলাশাসকের

 বিপ্লব দেব, হাফলংঃ সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মর্মে রাজ্যসরকারের বিভিন্ন বিভাগে তিন বছর বা তার বেশি সময় থেকে যে সকল অফিসার কর্মরত রয়েছেন তাদের নির্বাচনের আগে অন্যত্র বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশ জারি করে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পেয়ে ডিমা হাসাও জেলার জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া এক পত্র মারফত  সরকারি বিভাগেগুলিকে পত্র দিয়ে কোন কোন অফিসার কোন বিভাগে তিন বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় ধরে কর্মরত রয়েছেন এর তালিকা চেয়ে পাঠানোর পর ডিমা হাসাও জেলার বিভিন্ন সরকারি বিভাগ থেকে এনিয়ে ভূল তথ্য পাঠানো হচ্ছে জেলাশাসকের কাছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এমনই এক ভুল তথ্য পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে হাফলং পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগ থেকে জেলাশাসকের কার্যালয়ে। পশুপালন ও পশু চিকিৎসা বিভাগের অতিরিক্ত সঞ্চালকের কার্যলায় থেকে জেলাশাসকের কাছে যে তথ্য পাঠানো হয়েছে এখানে অতিরিক্ত সঞ্চালক যাদব গগৈ দেখিয়েছেন তিনি নিজে ২০১৬ সাল থেকে হাফলং পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। তাছাড়া হাফলং পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগের অফিসার বি কে কাকতি অক্টোবর ২০১৬ থেকে ডিমা হাসাও জেলায় কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু হাফলং পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগের অনেক অফিসার রয়েছেন যারা তিন বছর বা তার বেশি সময় থেকে ওই বিভাগে কর্মরত রয়েছেন বলে অভিযোগ। পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগের অতিরিক্ত সঞ্চালক যাদব গগৈ ২০০১ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে হাফলঙে কর্মরত রয়েছেন। তাছাড়া ওই বিভাগের অফিসার বি কে কাকতি ২০১১ থেকে কিস্মত আলি ২০১০ থেকে  নব কলিতা ১৯৯৯ থেকে এবং দিলীপ কুমার শর্মা ১৯৯২ থেকে ওই বিভাগে কর্মরত রয়েছেন বলে গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে।  এদিকে হাফলং পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগের কাছ থেকে ভুল তথ্য পাওয়ার অভিযোগ পেয়ে এবার জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া নড়েচড়ে বসেছেন। জেলাশাসক হাফলং পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগের অতিরিক্ত সঞ্চালক যাদব গগৈকে শোকজ করে সোমবার বিকেলের মধ্যেই এর জবাব জানতে চেয়েছেন। জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া বলেন পশুপালন ও পশুচিকিৎসা বিভাগের পক্ষ থেকে যদি এধরনের ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমানিত হয় তাহলে এই বিভাগের সংশ্লিষ্ট ওই অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.