Header Ads

পার্বত্য পরিষদের সিইএম হিসেবে বুধবার দায়িত্ব সমঝে নিলেন দেবোলাল গার্লোসা

 বিপ্লব দেব হাফলংঃ দ্বাদশ উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সিইএম হিসেবে বুধবার দায়িত্বভার সমঝে নিলেন দেবোলাল গার্লোসা। এদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন- পার্বত্য পরিষদের সাধারণ মানুষ যে ভাবে এবারের নির্বাচনে বিজেপি-র পক্ষে রায় দিয়েছে জনগণের এই বিশ্বাস রাখতে বিজেপি প্ৰতিশ্ৰুতিবদ্ধ। এদিন পরিষদ সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে ঢুকে প্রথমে প্রণাম করে নিয়ে তারপর নিজের চেয়ারে বসেন দেবোলাল গার্লোসা। এদিন গার্লোসা সাংবাদিকদের বলেন- ডিমা হাসাও জেলার সার্বিক উন্নয়নই হচ্ছে তার প্রধান লক্ষ্য। এর জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করে সিইএম বলেন রাস্তা পানীয়জল স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন এবারের বাজেটে পার্বত্য পরিষদের ২৮টি কেন্দ্ৰের উন্নয়নে ১০ কোটি টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। হাফলং শহরের উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই টাকা দিয়ে শৈল শহরের পানীয়জলের সমস্যার সমাধান সহ শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করা হবে। তাছাড়া এনএলসিপিআর প্রকল্পে উমরাংশু থেকে লঙ্কা পর্যন্ত দুই লেন সড়ক নির্মানের জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া হাফলং পোষ্ট অফিস থেকে দিহাঙ্গী পর্যন্ত স্টেট হাইওয়ে দুইলেন রাস্তা নির্মানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে জরিপের কাজ শুরু করা হয়েছে। সিইএম সাংবাদিকদের বলেন জাটিঙ্গা জিরো পয়েন্ট থেকে হাফলং পোষ্ট অফিস পর্যন্ত মহাসড়কের সংযোগী দুইলেন রাস্তা নির্মানের কাজে যুক্ত সিমপ্লেক্স নির্মাণ সংস্থার ঠিকা ইতিমধ্যে বাতিল করে পূর্ত বিভাগের হাতে দেওয়া হয়েছে স্বশাসিত পরিষদ এবার নিজের উদ্যোগে পূর্ত বিভাগকে দিয়ে এই দুইলেন রাস্তার কাজ করাবে। এদিন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন করে সিইএম দেবোলাল গার্লোসা বলেন নাগরিকত্ব বিল পাস হলে ডিমা হাসাও জেলার তেমন কোনও ক্ষতি হবেনা কারণ এই পাহাড়ি জেলা ষষ্ঠ তফশিলির অন্তর্ভূক্ত এখানে পার্বত্য পরিষদ রয়েছে। তাই এখানে অবৈধভাবে কেউ এসে বসবাস করতে পারবে। এখানে জমি কেনাবেঁচার ক্ষত্রে আইন রয়েছে। তাই এনিয়ে পাহাড়ি জেলাতে সমস্যা হবেনা এই বিল পাশ হয়ে গেলেও অযথা কংগ্রেস একে ইস্যু বানিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অখিল গগৈ-র মত মানুষ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যের মানুষকে বিপথে পরিচালিত করতে চাইছে বলে মন্তব্য করেন সিইএম দেবোলাল গার্লোসা। এদিন সিইএম হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করে গার্লোসা জেলার সার্বিক বিকাশে পরিষদ সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেন। সবাইকে নিজ নিজ কেন্দ্ৰের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন শীঘ্রই পরিষদের ইএমের তালিকা রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য রাজভবনে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যপালের অনুমোদনের পরই ইএমদের মধ্যে দপ্তর ভাগ করে দেওয়া হবে। এদিকে পার্বত্য পরিষদের বরাইল আসন থেকে বিজয়ী অগপ সদস্য নুলমিনলাল লিয়েনথাং বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এখন পার্বত্য পরিষদে বিজেপি-র সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫। উল্লেখ্য, উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদে দলত্যাগ বিরোধী আইন পাস হয়ে যাওয়ার দরুন এবার অসমের রাজ্যপাল অধ্যাপক জগদীশ মুখি পরিষদীয় দল নেতা হিসেবে সরাসরি সিইএম পদে দেবোলাল গার্লোসাকে নিযুক্তি দিয়েছেন।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.