Header Ads

ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোৰ্ডে-র নামে কংগ্ৰেসের মতো বিজেপি সরকারেরও ধারাবাহিক অবহেলা অব্যাহত

 ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সদ্দাররে মতো অবস্থা ভাষিক সংখ্যালঘু বোৰ্ডের

গুয়াহাটিঃ অসমে ৫০ লক্ষাধিক বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন বোৰ্ডের নামে পরিবৰ্তন কামী বিজেপি সরকার পূৰ্বতন কংগ্ৰেস সরকারের মত ধারাবাহিক অবহেলা, বঞ্চনা অব্যাহত রেখেছে। অধ্যাপক অমলেন্দু চক্ৰবৰ্তীকে চেয়ারম্যান মনোনিত করে ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোৰ্ড গঠন করেছিল বিজেপি সরকার। বছর দুয়েক হাত গুটিয়ে বসে থাকলেন চেয়ারম্যান চক্ৰবৰ্তী। হল না কিছুই। আবার মাস তিনেক আগে মরিয়নির প্ৰাক্তন বিধায়ক অলোক ঘোষকে চেয়ারম্যান এবং রামকৃষ্ণ ঘোষকে ভাইস চেয়ারম্যান মনোনিত করে ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোৰ্ড পুনর গঠন করা হল। মাত্ৰ একবার বৈঠক হয়েছে। কাগজে কলমে পাঁচ কোটি টাকার বাজেটও দেওয়া হয়েছে। অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মার টেবিলেই পড়ে আছে সেই বাজেটের অনুমোদন পত্ৰ। আজ পৰ্যন্ত সেই টাকা রিলিজ হল না। ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোৰ্ড-এর তথাকথিত এক অফিস আছে, আসবাবপত্ৰ নেই, গাড়ী নেই, একজন মাত্ৰ কৰ্মচারী, এই বোৰ্ডের নিজস্ব কোনও ক্ষমতাও নেই। ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সদ্দাররে মতো অবস্থা বোৰ্ডের। সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোৰ্ড রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে। সেই বোৰ্ডের অধীনে ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোৰ্ডকে রাখা হয়েছে নিজস্ব কোনও ক্ষমতা নেই, পরনিৰ্ভরশীল।সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোৰ্ডের অনুমোদন ছাড়া ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোৰ্ড অৰ্থাৎ বিশেষ করে বাঙালি হিন্দুদের ভাগ্যের শিকে ছিঁড়বে না। এই বোৰ্ডের এক মুখপাত্ৰ আজ দুঃখ প্ৰকাশ করে ক্ষোভের সঙ্গে এই সব অভিযোগ করে বলেন, ‘রাজ্যের পঞ্চাশ লক্ষাধিক বাঙালি হিন্দু বিজেপিকে দু হাত ভরে ভোট দিয়েছিলেন। সেই বাঙালি হিন্দুদের উন্নয়নের নামে বিজেপি সরকার চরম প্ৰতারণা করছে। এন আর সি-র নামে হেনস্থা তো করা হয়েছেই নাগরিকত্ব বিলের নামেও সমস্ত বাঙালি হিন্দুদের বাংলাদেশী হিন্দু বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা আজ সফট টাৰ্গেট, পথে-ঘাটে সৰ্বত্ৰ বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে। ধলা হত্যা কাণ্ডে আজ পৰ্যন্ত অপরাধীদের শাস্তি হল না। ‘ডি' ভোটার ডিটেনশন ক্যাম্পের নামে বিজেপি সরকারের তাচ্ছিল্য, প্ৰবঞ্চনা চলছেই।' ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোৰ্ড ছাড়াও সুকুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে বাংলাভাষী উন্নয়ন পরিষদ নামে সমান্তরালভাবে এক পরিষদ গঠন করা হয়। পঞ্চাশ লক্ষাধিক বাঙালি হিন্দুর উন্নয়নে এবছর বাজেট দেওয়া হয়েছে মাত্ৰ ৩৫ লক্ষ টাকা। আগের বাজেটের টাকা রিলিজই করা হয় নি। এই পরিষদের চেয়ারম্যান সুকুমার বিশ্বাস আজ জানান, ২৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার কম্পিউটার শিক্ষা, মেয়েদের বিউটিসিয়ানের মতো কাজের মাধ্যমে অৰ্থ ব্যয় করা হয়েছিল কিন্তু,  আজ পৰ্যন্ত সম্পূৰ্ণ টাকা রিলিজ করা হয় নি। ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোৰ্ড সৌর বিদু্যৎ সরবরাহ সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্ৰকল্প তৈরি করে রেখেছে, কিন্তু সরকারের দিক থেকে কোনও সাড়াই নেই। সবই ফাইলে আবদ্ধ। এইভাবেই বিজেপির পরিবৰ্তনকামী সরকার তিন বছর পার করে দিল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.