Header Ads

নিম্ন অসমে রূপসী বিমানবন্দরের শিলান্যাস করলেন মুখমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল

দেবযানী পাটিকর, গুয়াহাটিঃ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল শুক্রবার রূপসী বিমানবন্দরের শিলান্যাস করলেন।  দীৰ্ঘদিন ধরে অবহেলিত ভাবে পড়ে ছিল বিমান বন্দরটি। এদিন বেলা  ১২ টার সময় বিমানবন্দরে আয়োজিত  জনসভায় মুখ্য অতিথিরূপে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল । অনুষ্ঠানে কেন্দ্ৰীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্ৰী সুরেশ প্ৰভু নয়া দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন - উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষের কাছে এটা একটা খুবই গৌরবের মুহূর্ত। রূপসী বিমানবন্দর উন্নতি  হলে বেকার যুবক যুবতীরদের চাকরির সুযোগ হবে। সেইসঙ্গে স্থানীয় উৎপাদিত সামগ্রী রপ্তানী করা যাবে। একইসঙ্গে  আসেপাশের এলাকারও উন্নতি হবে। এই বিমান বন্দরের কাজ সম্পন্ন হলে রুপসী থেকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করার সুযোগ পাবেন নিম্ন আসামের লোকেরা। ফলে তাদের বড়ঝাড়ের গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত  আসতে হবে না ।এতে তাদের কষ্ট কিছুটা কমবে।
 প্ৰসঙ্গত, ব্রিটিশ শাসন কালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্থাপন হওয়া রূপসী  বিমানবন্দর গত ৩৬ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। রাজ্য সরকার বহুবার এই বিমানবন্দরটি খোলার চেষ্টা করলেও ব্যৰ্থ হয়। অবশেষে সরকার ভারতীয় বিমান প্রাধিকরণ এবং বায়ু সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বিমানবন্দর পুনঃনির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে ।  বিমানবন্দর এশিয়ার সর্ববৃহৎ রানওয়ে থাকা  বিমানবন্দর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই  বিমানবন্দর থেকেই দেশ-বিদেশে  যাতাযাত করা হতো।  ষাট দশকে এই বিমান বন্দর থেকে পশ্চিমবঙ্গের আশেপাশে যাতায়াত যদিও হয়েছিল  এর পরেই বন্ধ হয়ে যায় বিমানবন্দরটি।  এর গৌরবময় ইতিহাস শুধু সাক্ষী হয়ে থাকে। ১৯৮৪ সন থেকে স্তব্ধ হয়ে যায় এই বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর থেকে পুনরায় চালু হবে বিমান সেবা। ৩৩৭ একর জমিতে ৩৫০০ স্কয়ার কিলোমিটারে টার্মিনাল বিল্ডিং এর নির্মাণের কাজ চলছে।  নির্মানের  ৭৫% শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে । বাকি কাজ শেষ করার জন্য দিনরাত কাজ চলছে । আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকেই এ বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল শুরু হবে। নির্মাণের জন্য খরচ হবে ৬৯ কোটি টাকা । উড়ান প্রকল্পের অধীনে এটি আর টু টাইপ আর আর সিএস উড়ান বিমানের জন্য চালানো হচ্ছে এই নির্মাণকার্য।  বিমানবন্দরটি পুনঃনির্মাণের  কাজে স্থানীয় লোকরা যথেষ্ট উৎফুল্লিত হয়ে পড়েছে । এই বিমানবন্দর থেকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে  বিমান যাত্রা করার জন্য গোয়ালপাড়া, ধুবড়ি কোকরাঝাড় আদি জেলার লোক সবাই গুয়াহাটির  বড়ঝাড়ের আন্তৰ্জাতিক বিমানবন্দরের পরিবর্তে রুপসী বিমানবন্দর থেকে  যাত্রা করতে পারবে। অনেকের মতে এতে  অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে ধুবডি এবং কোকরাঝাড় আদি বিভিন্ন জায়গায় উন্নতি  হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপকে প্রশংসা করেছেন অনেকেই। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী, চিফ এক্সিকিউটিভ মেম্বার অফ বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের হাগ্রামা মহিলারী, পর্যটন মন্ত্রী চন্দন ব্রহ্ম, সাংসদ অশ্বিনী রায় সরকার, সাংসদ অশোক কুমার সিংহী, সাংসদ মিজানুর রহমান এবং  এএ আই রিজিওনাল এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ডিকে কারমা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.