Header Ads

ব্যতিক্ৰমধৰ্মী ঘাটতি বাজেট পেশ করে অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা ‘কল্পতরু' সাজলেন


ওপরে মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সনোয়ালের সঙ্গে নিচে অর্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই পোষাকেই বাজেট পেশ করেন।

চা জনগোষ্ঠী এবং খিলঞ্জীয়া জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সুরক্ষায় এই বাজেট, বরাক উপেক্ষিত


অমল গুপ্তঃ গুয়াহাটি

ব্যতিক্ৰমধৰ্মী ঘাটতি বাজেট পেশ করে অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা ‘কল্পতরু' সাজলেন। দোরগোড়াঁয় নিৰ্বাচন, তাই অৰ্থমন্ত্ৰী রাজ্যের দারিদ্ৰপীড়িত মানুষদের মৌলিক সমস্যগুলি সমাধানের লক্ষ্যে তাদের মন ছুয়ার চেষ্টা করলেন। ১১৬ পৃষ্ঠার বৰ্ণময় বাজেট পুস্তিকার পাঠ করতে অৰ্থমন্ত্ৰীর সময় লাগল ৩ ঘণ্টারও বেশি সময়। চিরাচরিত শ্লোক আওরিয়ে মহাপুরুষ শঙ্করদেবের প্ৰতি প্ৰণিপাত জানিয়ে রাজ্যের প্ৰতিজন মানুষ সুখী হোক, অসুস্থতা থেকে মুক্তিপাক, আধ্যাত্মিক চেতনায় উজ্জীবিত হোক এবং কেউ যেন দূৰ্ভোগে না পড়েন, মানুষের কল্যাণে উপনিষদের এই নিৰ্যাস তুলে ধরে রাজ্যের জাতি, ধৰ্ম, ভাষা, বৰ্ণ নিৰ্বিশেষে সব জনগোষ্ঠীর মানুষের মঙ্গল কামনা করেন অৰ্থমন্ত্ৰী। বুধবার বিধানসভায় হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা ২০১৯-২০২০ অৰ্থ বছরের ১১৯৩.০৪ কোটি টাকার কর বিহীন ঘাটতি বাজেট পেশ করলেন। ২০১৭-১৮ অৰ্থ বছরে প্ৰারম্ভিক ঘাটতি ছিল ৬২৫৮২.৭২ কোটি টাকা, ২০১৯-২০২০ অৰ্থ বছরের প্ৰথমাৰ্ধে ঘাটতি দাঁড়ায় ৯৮৩৩৯.০৫ কোটি টাকা। আৰ্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়, ঋণ নিয়ন্ত্ৰিত হয়, জিএসটি থেকে ১৪ শতাংশ রাজস্ব আয়ের ফলে শেষ পৰ্যন্ত ঘাটতি কমে দাঁড়ায় ১১৯৩.০৪ কোটি টাকা। অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা দাবি করেন, শুধু মাত্ৰ প্ৰকল্প ঘোষণা করে এবং উন্নয়নমূলক কৰ্মসূচীগুলি উল্লেখ করেই দায়িত্ব শেষ করছি না। প্ৰত্যেকটি প্ৰকল্পর এবং উন্নয়নমূলক কৰ্মসূচীগুলি যথাযথ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এবারকার বাজেটে বেশ কিছু নতুন প্ৰকল্প, নতুন কৰ্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। যা রাজ্যের যুব প্ৰজন্মকে আকৰ্ষিত করবে। এই বাজেটে বরাক উপত্যকা বিশেষ গুরুত্ব পেল না বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যান্য বার বরাকের সমস্যা নিয়ে পৃথক পরিশিষ্ট থাকতো, কিন্তু এবার নেই। মানুষের মৌলিক অধিকার খাদ্য, বস্ত্ৰ, বাসস্থান এই অধিকারকে রূপায়ন করার লক্ষ্যে তিনটি পৰ্যায়ে মানুষের প্ৰয়োজন তুলে ধরলেন। প্ৰথম পৰ্যায়ে  মানুষের প্ৰথম চাহিদা অন্ন, সেই লক্ষ্যে রাষ্ট্ৰীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীন ৩ টাকা কিলো দরে ৫৭ লক্ষ পরিবারকে এই সুযোগ দিয়ে আসছে। ৩ টাকার বদলে ১ টাকা কিলো দরে সেই চাল দেওয়া হবে। রাজ্যে যৌতুকের দাবি নিয়ে এই সরকারের আমলে প্ৰায় ২০ হাজার যুবতীকে প্ৰাণ দিতে হয়েছে। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে অরুন্ধতী যোজনা নামে এক চমকপ্ৰদ এক প্ৰকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্ৰতিজন বিবাহযোগ্য কন্যাকে বিয়ের সময় ১ তোলার স্বৰ্ণালংঙ্কার  হিসাবে প্ৰায় ৩৮ হাজার টকা করে দেওয়া হবে। এই জন্য বাজেটে ধাৰ্য করা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। তৃতীয় কৰ্মসূচীর নাম দেওয়া হয়েছে জ্ঞান দীপিকা। বছরে ১ লক্ষ টাকা কম আয় সম্পন্ন অভিভাবকরা তার সন্তানদের স্নাতক শ্ৰেণী পৰ্যন্ত বিনা মাশুলে পড়াতে পারবে। এবং দ্বাদশ শ্ৰেণী পৰ্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুথি এবং অষ্টম শ্ৰেণী পৰ্যন্ত বিনামূল্যে ইউনিফৰ্ম লাভ করবে। ২০১৯-২০ অৰ্থ বছরে যে সব অভিভাবকের বাৰ্ষিক আয় ২ লক্ষ টাকা তাদের বিনামূল্যে নাম ভৰ্তির সুযোগ দেওয়া হবে। পূৰ্বে ১ লক্ষ টাকা বাৰ্ষিক আয় সম্পন্ন অভিভাবকদের ক্ষেত্ৰে সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বৰ্তমানে দ্বাদশ শ্ৰেণীর পরিবৰ্তে স্নাতক (কলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্য) শ্ৰেণী পৰ্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুথি প্ৰদান করা হবে। এছাড়াও ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের বহু সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অৰ্থমন্ত্ৰী এবার তার বাজেটে রাজ্যের ধৰ্মীয় ভাষিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য বেশ কিছু প্ৰকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন, সংখ্যালঘু সম্প্ৰদায়ের কন্যা সন্তানদের জন্য শিক্ষা সুরক্ষা কৰ্মসূচীর অধীনে এনে ২০০ কোটি টাকার বরাদ্দ করেছেন। সংখ্যালঘু সম্প্ৰদায়ের কন্যা শিশুদের স্কলারশিপ কৰ্মসূচীর কথা ঘোষণা করেছে। দীনদয়াল প্ৰতিবন্ধী কৰ্মসূচীর অধীনে প্ৰতিজন প্ৰতিবন্ধীকে মাসে ১ হাজার টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়ার ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছেন। তৃতীয় লিংঙ্গের ব্যক্তিদেরও এই সুযোগ দেওয়া হবে। তাদের উন্নয়নের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কামরূপ জেলার বোকোতে এক প্ৰতিবন্ধী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছেন মন্ত্ৰী। এতদিন রাজ্যে ধৰ্মীয় এবং ভাষিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর কল্যাণের কথা বলা হত। এবং খিলঞ্জীয়া মুসলিমদের কল্যাণের জন্য এক পৃথক করৰ্পোরেশন গঠন করে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অৰ্থনৈতিকভাবে অনগ্ৰসর মরিয়া, গরিয়া, সৈয়দ, জোলা, উজনি, দেশী প্ৰভৃতি জনগোষ্ঠীকে আদি খিলঞ্জীয়া মুসলিম বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তারা পরিচয় সঙ্কটে ভূগছে। তাদের আৰ্থ সামাজিক উন্নয়নে করৰ্পোরেশন স্থাপন করবে সরকার। ৬০ বছরের উৰ্দ্ধে ব্যক্তিদের প্ৰতিজন ব্যক্তিকে ২৫০ টাকা করে পেন্সন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মন্ত্ৰী, তবে সরকারী কৰ্মচারী নয়।  স্বামীর মৃত্যুর পর ৪৫ বছরের অনূর্ধ্ব কম দারিদ্ৰ পীড়িত বিধবা পত্নীর জন্য ২৫ হাজার টাকার এককালীন অৰ্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। ইন্দিরা মিরি সাৰ্বজনীন বিধবা পেন্সন কৰ্মসূচী ৬০ বছরের উৰ্দ্ধে স্বামী হারা মহিলাদের ২৫০ টাকা করে বিধবা পেন্সন দেওয়া হবে। রাজ্যের ৮০০ বেশি চা বাগানের শ্ৰমিকদের জন্য সরকার বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কৰ্মসূচী গ্ৰহণ করা হয়েছে। আগামী অৰ্থ বছরে ২০ লক্ষ হিতাধিকারী সহ ৪ লক্ষ পরিবারকে বিনামূল্যে চাল এবং চিনিও বিনামূল্যে দেওয়া হবে। রাজ্যের ২৬টি জেলায় ৭৫২ টি চা বাগানে ৭ লক্ষ-র অধিক চা শ্ৰমিকদের এ্যাকাউণ্টে ২৫০০ টাকা করে জমা দেওয়া হয়েছে। এবছর বাকী থাকা শ্ৰমিকদেরও এই টাকা দেওয়া হবে। ৫৪৯টি চা বাগানে শ্ৰমিক লাইনে রাস্তা ঘাট নিৰ্মাণের জন্য ৫৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আরও বহু কৰ্মসূচী নেওয়া হয়েছে চা শ্ৰমিকদের জন্য। অটল অমৃত অভিযান যোজনায় এতদিন ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্নায়ু রোগ সহ ৬ টি জটিল রোগ বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল, এই চিকিৎসার জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে পরিশোধ করেছে, প্ৰায় ২২ হাজার লোক এই সুবিধা নিয়েছে। এই ৬ টি জটিল রোগ ছাড়াও হাসপাতালের আইসিইউতে থাকার সুবিধা সহ যে কোনও আঘাতের চিকিৎসা, হাঁড়ের মজ্জা সংস্থাপন এবং শিশুরোগের চিকিৎসা এবং অস্ত্ৰোপচারের সুযোগও দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী ঘোষণা করেন। ষষ্ঠ তফশিলভূক্ত বোড়োল্যাণ্ড টেরিটরিয়াল কাউন্সিলকে ২০১৮-১৯ অৰ্থ বছরে ৬০০ কোটি টাকা অৰ্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও কোকরাঝাড়ে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। কাৰ্বি আংলংয়ে ২৬ টি স্বায়িত্ব শাসিত পরিষদকে ১০ কোটি টাকার আৰ্থিক প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। ডিফুতে মেডিকেল কলেজের কাজ সম্পূৰ্ণ হয়ে উঠেছে। ২০১৯-২০ অৰ্থ বছরে ১৬০ কোটি টাকা অৰ্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। ডিমা হাসাও জেলাকে মডেল জেলা হিসাবে গড়ে তুলে এবং সৰ্বাঙ্গীন উন্নয়নে আৰ্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে উমরাংসুতে অসামরিক সেবা এ্যাকাডেমী স্থাপনের কাজ এগোচ্ছে। অসম সরকারের কৰ্মচারীদের সপ্তম অৰ্থ কমিশন প্ৰতিবেদন অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়েছে। বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে মেঘালয়ে অনুষ্ঠিতব্য রাষ্ট্ৰীয় ক্ৰীড়া মহোৎসবের জন্য অসম সরকার ১০ কোটি টাকা আৰ্থিক সাহায্য দেবে। পুত্তবিভাগ অসম মালা কৰ্মসূচীর অধীনে বেশ কিছু কৰ্মসূচী গ্ৰহণ করেছে, ২০১৯-২০ অৰ্থ বছরে ৬২৬৯ কোট টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, ইষ্ট ওয়েষ্ট করিডর নিৰ্মাণ ছাড়াও ৩৩৩ কিলোমিটার দৈৰ্ঘ্যের চার লেনযুক্ত রাষ্ট্ৰীয় সরক নিৰ্মাণে কাজও অনেক এগিয়েছে।১০০০ কিলোমিটার  রাস্তা নিৰ্মাণে ৫০০০ কোটি টকা ব্যয় করবেন অর্থমন্ত্ৰী। ব্ৰহ্মপুত্ৰের ওপর ৬ টি নতুন সেতু নিৰ্মাণ করা হবে এর প্ৰতিবেদনও প্ৰস্তুত করা হচ্ছে। রাজ্যে এএসটিসির বাসষ্ট্যাণ্ড নিৰ্মাণের জন্য ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিন বছরে ১০০০টি নতুন বাস কেনা হবে। গ্ৰামের শান্তি রক্ষায় গাঁওবুড়াদের এক ভূমিকা আছে। ৮০০০র অধিক গাঁওবুড়াদের স্মাৰ্ট ফোন কিনে দেবে রাজ্য সরকার। অসমীয়া জনগোষ্ঠী উন্নয়নে বেশ কিছু কৰ্মসূচী গ্ৰহণ করা হয়েছে। দেশে বেশ কিছু শহরে একজন করে ডেভেলপমেণ্ট অফিসার নিয়োগের প্ৰস্তাব নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যে অসমীয়া যুবক-যুবতী যারা পড়া শুনায় ব্যস্ত, কৰ্মহীন, নানা অসুবিধার সন্মুখীন তাদেরকে আৰ্থিক সাহায্য করবে ঐ অফিসাররা। বৰ্হিরাজ্যে কোনও অসমীয়ার আকস্মিক মৃত্যু হলে তাৎক্ষণিকভাবে আৰ্থিক সাহায্যর ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে। রাজ্যের খিলঞ্জীয়ার অধিকার ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষার জন্য বিভিন্ন কৰ্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে। ‘আমি অসমীয়া' শীৰ্ষক এক কৰ্মসূচীর অধীনে এই সব উন্নয়নমূলক কৰ্মসূচী গ্ৰহণ করা হয়েছে। নবম এবং দশম শ্ৰেণীতে অসমীয়া ভাষাকে আধুনিক ভারতীয় ভাষা হিসাবে নাই বা ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে পাঠ্য তালিকায় রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অবশ্য ষষ্ঠ অনুেচ্ছদের অঞ্চলসমূহে এবং বরাকের ক্ষেত্ৰে এই নিৰ্দেশনা প্ৰযোজ্য হবে না। প্ৰসঙ্গত শাস্ত্ৰীর ত্ৰি ভাষা সূত্ৰ অনুযায়ী বরাকের সরকারী ভাষা বাংলা। অসম শিক্ষা (শিক্ষক সেবার প্ৰাদেশীকরণ এবং শৈক্ষিক প্ৰতিষ্ঠান পুনরগঠন) আইন, ২০১৭  রাজ্যে চলতে থাকা শিক্ষানুষ্ঠান এবং শিক্ষক কৰ্মচারীদের প্ৰাদেশিকৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঐ আইনের অধীনে ৩০৬ খন শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠান এবং ৪৫ টি উচ্চ শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠান প্ৰাদেশিকৃত করার কথা প্ৰস্তাব নেওয়া হয়েছে। শ্ৰীমন্ত শঙ্করদেবের পূণ্য ভূমি বটদ্ৰব থান উন্নয়ন সহ রাজ্যের কয়েক শো নামঘর, মন্দির, সত্ৰ, দেবালয়, মসজিদ, দরগাহ প্ৰভৃতি উন্নয়ন করার জন্য আৰ্থিক সাহায্য দানের প্ৰস্তাব নেওয়া হয়েছে। বরাক উপত্যকায় ৬০ দশকে বাংলা ভাষা আন্দোলনে প্ৰাণ আহুতি দেওয়া যুবক-যুবতীদের স্মরণে ভাষা শহিদ স্মারক স্থাপন করবে রাজ্য সরকার। শিবসাগরে আজান পীর ক্ষেত্ৰ, বরাক উপত্যকায় স্বামী বিবেকান্দের নামে সাংস্কৃতিক গবেষণা কেন্দ্ৰ, কলকাতায় সুধাকণ্ঠ ভূপেন হাজরিকার সম্পত্তি সংরক্ষণ, উড়িশ্যার সম্বলপুরে সাহিত্যরথী লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার বাসভবন সংরক্ষণ, ধুবড়ি-গোলকগঞ্জে চিলারায় কলা কেন্দ্ৰ স্থাপন, তিনসুকিয়ায় ধলা-শদিয়ার সেতুর কাছে ভারত রত্ন ভূপেন হাজরিকা সমন্বয় ক্ষেত্ৰ, নলবাড়িতে প্ৰেক্ষাগৃহ নিৰ্মাণ, রাঘব মরাণ, বিরসা মুণ্ডা, রতন লহকর, অচ্যুত লহকর এবং পাৰ্বতী প্ৰসাদ বরুয়া, কুমার ভাস্কর বর্মন, চাওলুং চ্যুকাফা এবং মহারাজ নরনারায়ণের প্ৰতিমূৰ্তি স্থাপন, কোচবিহারের মধুপুর সত্ৰে, যেখানে শ্ৰীমন্ত শঙ্করদেব শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন, সেই ঐতিহ্য থানের উন্নয়নে সরকার বছরে ১০ লক্ষ টাকা করে সরকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্টইষ্ট নীতি রূপায়নের লক্ষ্যে অসমের সঙ্গে বাংলাদেশের চট্টগ্ৰাম এবং মংলাবিমান বন্দরে সঙ্গে অসমের সম্পৰ্ক স্থাপিত হবে। ব্ৰহ্মপুত্ৰ এবং বরাক নদী খননের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগযোগ ব্যবস্থা ত্বরান্বিত হবে। পরিশেষে অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা বলেন, সৰ্বানন্দ সনোয়াল নেতৃত্বধীন সরকারের সদিচ্ছা এবং নিষ্ঠা সন্দেহতীতভাবে প্ৰমাণিত।  রাজ্যকে সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যমলা, অসম গড়ার লক্ষ্যে রাজ্যবাসীর আশীৰ্বাদ চাইছি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.