Header Ads

আমার হারাবার কিছুই নেই, পাওয়ারও কিছু নেইঃ প্ৰাক্তন উপাধ্যক্ষ দিলীপ পাল

প্ৰাক্তন উপাধ্যক্ষ দিলীপ পালের অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখতে সভাপতি রঞ্জিত দাসকে বরাকে পাঠােচ্ছন মুখ্যমন্ত্ৰী, অভিযোগ প্ৰমাণিত হলে শোকজ করা হবে

গুয়াহাটিঃ অসম বিধানসভার প্ৰাক্তন উপাধ্যক্ষ তথা শিলচরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপ পাল স্বয়ং বরাক উপত্যকায় বিশেষ করে কাছাড় জেলায় কয়লা কেলেঙ্কারি সম্পৰ্কে মুখ খুলেছেন এবং অভিযোগ করেছেন, কাছাড়ের পুলিশ সুপার রাকেশ রোশন প্ৰতিটি কয়লা ট্ৰাক থেকে ৫০-৬০ হাজার টাকা করে কমিশন সংগ্ৰহ করে। ব্যাপকহারে কয়লা দূৰ্নীতি চলছেই। এই দূৰ্নীতির অভিযোগ মুখ্যমন্ত্ৰীর গোচরে দেওয়া সত্বেও মুখ্যমন্ত্ৰী কোনও ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেন নি। বহুল প্ৰচারিত এক সংবাদপত্ৰে এই অভিযোগটি প্ৰকাশের পর দিশপুরে বিজেপির অন্দর মহলে ব্যাপক প্ৰতিক্ৰিয়ার সৃষ্টি হয়। গতকাল মুখ্যমন্ত্ৰীসৰ্বানন্দ সনোয়াল তার ঘনিষ্ঠ মহলে তীব্ৰ প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, দিলীপ পাল দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্ৰহণের জন্য দলের সভাপতি রঞ্জিত দাসকে বলেছেন বলে বিজেপি সূত্ৰে জানা গেল। আজ সূত্ৰটি জানান, দিলীপ পালকে এই ব্যাপারে শোকজ করা হতে পারে। দলের মধ্যে আলোচনা হয়েছে প্ৰধানমন্ত্ৰী শিলচরে আসছেন  তার আগে ইচ্ছাকৃতভাবে দলের ভাৱমূৰ্তি বিনষ্ট করলেন দিলীপ পাল। মূখ্যমন্ত্ৰীর নিৰ্দেশের পর বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত দাস আগামী কালই শিলচর যাচ্ছেন। সেখানে দিলীপ পালকে জিজ্ঞাসা করবেন, খবরে কাগজে প্ৰকাশিত খবরটি সত্য কিনা, তিনি কোনও টিভি সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছেন কি না? যদি প্ৰমাণিত হন, তিনি অভিযোগ করেছেন, তবে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে ‘শোকজ করা হবে'। স্বয়ং দিলীপ পাল আজ টেলিফোনে এই প্ৰতিবেদককে বলেন, সংবাদ পত্ৰটিতে প্ৰকাশিত খবর অস্বীকার করে তিনি বলেন, “বরাক উপত্যকায় কংগ্ৰেস আমোল থেকে কয়লা দূৰ্নীতি চলছে, বৰ্তমান সময়েও তা অব্যাহত। পুলিশ থেকে শুরু করে অনেকেই এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। মুখ্যমন্ত্ৰীকেও বহুবার জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্ৰীর উচিত উচ্চ পৰ্যায়ের তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া।” বিধানসভার প্ৰাক্তন উপাধ্যক্ষ পাল বলেন, “বিজেপির ভাবমূৰ্তি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য, দলের বিরুদ্ধে যাতে কোনও অভিযোগ না উঠে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই বিজেপির কয়েকজন নেতাকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করি নি। দলের একজন শৃঙ্খলাপরায়ন কৰ্মী হিসাবে দলের স্বাৰ্থেই কথা বলেছি। দল যদি শাস্তি দেয় তা মাথা পেতে নেব। আমার হারাবার কিছুই নেই পাওয়ারও কিছু নেই।” কংগ্ৰেসের পরিষদীয় দলপতি দেবব্ৰত শইকিয়া আজ বলেন, বরাকের কয়লা দূৰ্নীতির অভিযোগ প্ৰমাণিত হল। কারণ বিজেপি দলের সদস্যই দূৰ্নীতির অভিযোগ করল। আমি বরাকের কয়লা দূৰ্নীতির জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলাম বিধানসভায়। মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়ালও সিবিআই তদন্তের দাবি মেনে নিয়েছিলেন। এদিকে জানা গেছে কাছাড় জেলার পুলিস সুপার রাকেশ রোশন স্বয়ং অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধেই দিশপুরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.