Header Ads

হিমন্ত সাম্প্ৰদায়িক মেরুকরণ করে বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে, অভিযোগ দেবব্ৰত শইকিয়ার

পরীক্ষার মরশুমে ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের আন্দোলনে নামাবেন না, জীবন নষ্ট করবেন না, আন্দোলনকারীদের প্ৰতি বিনম্ৰ অনুরোধ শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্যের

গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে কেন্দ্ৰ করে সংবাদমাধ্যম বিশেষ করে বৈদু্যতিন মাধ্যমের সঙ্গে অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা, মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়ালে এবং বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত দাসের তীব্ৰ বাদানুবাদ এবং বাকযুদ্ধের সৃষ্টি হয়েছে। হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মাকে সরাসরি প্ৰত্যাহবান জানিয়েছেন এক বৈদু্যতিন মাধ্যমের মুখ্য সম্পাদক। সেই সঙ্গে কৃষক মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতির নেতা অখিল গগৈ এবং আসু নেতৃত্বর সঙ্গেও সরকারের বাদানুবাদ, প্ৰত্যাহবান চূড়ান্ত পৰ্যায়ে পৌঁছিয়েছে। অসমের সাম্প্ৰদায়িক পরিস্থিতি ক্ৰমাবনতি ঘটছে। বিশেষ করে হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা হিন্দু-মুসলিম প্ৰশ্ন তুলে সাম্প্ৰদায়িক বিভাজনের চেষ্টাকে রাজ্যের বুদ্ধিজীবিরা কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন। মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল অভিভাবক এবং ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের প্ৰতি আহবান জানিয়েছে রাজনীতির অঙ্গনে পা না দেওয়ার জন্য। কিন্তু আসু নেতৃত্বের বক্তব্য অসমের স্বাৰ্থ যখন প্ৰত্যাহবানের মুখে পড়েছে তখন ছাত্ৰরা আন্দোলন করবেই, পথে নামবেই। প্ৰাক্তন আসু সভাপতি হিসাবে মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের পথে নামিয়ে ছিলেন। রাজ্যের এই জটিল পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্য আজ করজোড়ে বিনম্ৰভাবে আন্দোলনকারীদের আহবান জানিয়ে বলেছেন, ৮০দশকের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন না। আর কিছুদিন বাদেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই সময় আন্দোলন হলে মূল্যবান শিক্ষাবৰ্ষ বিনষ্ট হবে। ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের প্ৰতি অবিচার করা হবে। পরীক্ষার মরশুমে ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের আন্দোলনে নামাবেন না জীবন নষ্ট করবেন না। তিনি আজ কলাক্ষেত্ৰে এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন রাজ্যের ৩১০টি বিদ্যালয় এবং জুনিয়র কলেজকে প্ৰাদেশিকিকরণ করা হবে। তার মধ্য ১০৪টি জুনিয়র কলেজ। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি অন লাইনের মাধ্যমে করা হবে বলে চিন্তা চৰ্চা করছেন বলে শিক্ষামন্ত্ৰী আজ জানান। রাজ্যের বৰ্তমানে রাজনীতিবিদ, মন্ত্ৰী, এবং বিভিন্ন সংগঠন এবং সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে যে ধরণের বাদানুবাদ, তৰ্কবিতৰ্ক চলছে তারফলে রাজ্যে সাম্প্ৰদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। বিরোধী দলপতি দেবব্ৰত শইকিয়া আজ রাজ্য পুলিশের ডিজিপির হাতে এক স্মারকপত্ৰ দিয়ে এই অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে অৰ্থ ও স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা যে ধরণের উসকানিমূলক সাম্প্ৰদায়িক মেরুকরণ করে যাচ্ছেন, যার ফলে রাজ্যে আইন শৃংঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে। হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা সংবিধানের নামে শপথ নিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি এখন হিন্দুদের অবৈধ প্ৰব্ৰজনকারী এবং মুসলমান অবৈধ প্ৰব্ৰজনকারীর মধ্যে পৃথক নীতির পোষকতা করে সংবিধানের ধৰ্ম নিরপেক্ষ চরিত্ৰকে লঙঘন করছেন। ভোটব্যাংকের স্বাৰ্থে রাজ্যে ধৰ্মীয় মেরুকরণের আশ্ৰয় নিয়েছেন। ড০ হীরেন গোঁহাইয়ের মতো বুদ্ধিজীবিও মন্ত্ৰী শৰ্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ (এ) এবং ২৯৫ (এ) ধারা অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের করার দাবি  জানিয়েছে ডিজিপির কাছে। কৃষক মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতির নেতা অখিল গগৈ রাজ্যের বৰ্তমান পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্ৰী, হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মাকে কাঠগড়ায় দাঁড়া করিয়ে মন্তব্য করেছেন, রাজ্য সাম্প্ৰদায়িক গবেষণাগারে পরিণত হয়েছে। প্ৰশ্ন তুলেছেন, বৰ্তমান পরিস্থিতির জন্য বিজেপি কৰ্মীরা কে দায়ী হবে?

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.