Header Ads

দেশে প্ৰজাতন্ত্ৰ দিবসে সৰ্বপ্ৰথম নেতাজী আজাদ হিন্দ বাহিনী দিল্লীর রাজপথে কুচকাওয়াজে অংশ গ্ৰহণ করে






অমল গুপ্তঃ গুয়াহাটিঃ
দেশের ৭০ তম প্ৰজাতন্ত্ৰ দিবস-এ এবার দেশবাসী দেখলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্ৰ বসু এবং রাসবিহারী বসুর হাতে গড়া আজাদ হিন্দ বাহিনী দিল্লীর রাজপথে কুচকাওয়াজ-এ অংশ গ্ৰহণ করেন। যাদের জন্যই দেশ আজ স্বাধীনতা পেয়েছে, তাঁদেরকে বিগত কেন্দ্ৰীয় সরকারগুলি কোনও গুরত্বই দেয়নি, উপরন্তু, আজাদ বাহিনীর সংগৃহীত কোটি কোটি টাকার স্বৰ্ণলংকার এবং অন্যান্য মূল্যবান সামগ্ৰীর কোনও হিসাব দেশবাসীকে দেয়নি বিগত দিল্লীর সরকারগুলি। এই সরকার অন্তত কিছুটা হলেও নেতাজীর অবদানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এবার ৭০তম প্ৰজাতন্ত্ৰ দিবসে আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্ৰাক্তন সেনানীরা দিল্লীর রাজপথে কুচকাওয়াজ-এ অংশ গ্ৰহণ করে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ রাখল। ২৩ জানুয়ারি নেতাজীর জন্মদিনে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি নেতাজী স্মারক মিউজিয়াম উদ্বোধন করেছিলেন। আজ প্ৰজাতন্ত্ৰ দিবসের দিন রাষ্ট্ৰপতি রামনাথ কোবিন্দ জম্মু কাশ্মীরের যুদ্ধে প্ৰাণ আহুতি দেওয়া ল্যান্স নাইক নাজির আহমেদ ওয়ানিকে অশোকচক্ৰ মরণোত্তর পুরস্কারে ভূষিত করলেন। এছাড়াও সাইরাস এ পিঠাওয়ালা, কৰ্ণেল শ্ৰীরাম, কৰ্ণেল গোবিন্দকে একই সম্মান দেওয়া হল। অপরদিকে সুবেদার যোগেন্দ্ৰ সিং, সুবেদার সঞ্জয় কুমার, ক্যাপ্তেন বানা সিং, সঞ্জয় কুমার প্ৰমুখদের পরমবীরচক্ৰ সম্মানে সম্মানিত করেন রাষ্ট্ৰপতি কোবিন্দ। প্ৰজাতন্ত্ৰ দিবসে পশ্চিমবঙ্গ-এ সাম্প্ৰদায়িক সম্প্ৰীতির বাৰ্তা দিলেন দেশবাসীকে। ট্যাবলোর থিম ছিল মহাত্মা গান্ধী এবং রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্ৰ সুর বেজে উঠল ডাক শুনে যদি কেউ না আসে তবে একলা চলোরে ........। অসমের ট্যাবলোর থিম শুয়ালকুচি রেশম শিল্প, রেশমের শাড়ি পরে অসমীয়া কন্যারা ভূপেন হাজরিকার বিখ্যাত গান গাইলেন। এবার দিল্লীর রাজপথে অধিকাংশ ট্যাবলোতে মহাত্মা গান্ধীকে টেনে আনা হয়েছে। স্বচ্ছ ভারতের নামেও এক ট্যাবলো রাজপথে নেমেছিল। এ প্ৰথম বার দিল্লীর রাজপথে স্বয়ংক্ৰিয় বজ্ৰ কামান এবং অ্যাল্ট্ৰা লাইট হাউৎজার প্ৰদৰ্শন করা হয়। অন্যান্য বছরের মতো এবারো নাচে-গানে রঙিন হয়ে উঠে দিল্লীর রাজপথ। এবার বিদেশী অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ আফ্ৰিকার রাষ্ট্ৰপতি সিরিল রামাদোসা। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি, উপ-রাষ্ট্ৰপতি এম ভেংকয়া নাইডু, সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্ৰাপ্ত কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী নিৰ্মলা সিতারামন, বিরোধী দলপতি রাহুল গান্ধী, প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী ডাঃ মনমোহন সিংহ সহ বিরোধী দলের অধিকাংশ নেতা মন্ত্ৰীরা উপস্থিত ছিলেন। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি অমর জওয়ান জ্যোতিতে শ্ৰদ্ধাৰ্ঘ জ্ঞাপন করেন। কেন্দ্ৰের বিশিষ্ট মন্ত্ৰী অরুণ জেঠলিকে দেখা গেল না। অসুস্থ হয়ে তিনি আমেরিকায় চিকিৎসাধীন। অসমের রাজ্যপাল জগদীশ মুখি আজ গুয়াহাটি খানাপাড়া ময়দানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন, মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল, পুলিশ প্ৰধান কুলধর শইকিয়াও উপস্থিত ছিলেন। আজ প্ৰজাতন্ত্ৰ দিবসের সাংবাদিক পুরস্কার দেওয়া হয় ধীরেন্দ্ৰ নাথ চক্ৰবৰ্তীকে। সারা রাজ্যে আজ মযাদা সহকারে ৭০তম প্ৰজাতন্ত্ৰ দিবস উদযাপন করা হয়। স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আজ ভারত-পাকিস্তান আট্টারি ওয়াগা সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনী ‘বিটিং দ্য রিট্ৰিট’ কৰ্মসূচী পালন করে। দেশের ১১২ জন সফল ব্যক্তিকে পদ্ম পুরস্কারে সন্মানে সন্মানিত হল এদের মধ্যে ৪ জন পদ্ম বিভূষণ, ১৪ জন পদ্ম ভূষণ, ৯৪ জন পদ্মশ্ৰী সম্মানে সম্মানিত হন। উড়িশ্যার মুখ্যমন্ত্ৰী নবীন পট্টনায়কের বোন গীতা মেহতা পদ্মশ্ৰী পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন। তিনি এই পুরস্কার নিতে অস্বীকার বলেছেন, আসন্ন লোকসভা নিৰ্বাচনের পূৰ্বে এই পুরস্কার গ্ৰহণ করলে তিনি নিজে এবং কেন্দ্ৰীয় সরকার উভয়েই বিব্ৰত হবে। দেশের উত্তর পূৰ্বাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেড রোডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে হিন্দু-মুসলিম সম্প্ৰীতির বাৰ্তা দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্ৰামে প্ৰাণ আহুতি দিয়া শহিদদের প্ৰতি শ্ৰদ্ধাৰ্ঘ জ্ঞাপন করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.